চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতালে গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কার্যক্রম। কার্যক্রম শুরুর পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সন্দেহজনক
১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা কারও দেহে করোন ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।
অপরদিকে বিআইটিআইডির পরিচালক প্রফেসর ডা. এম এ হাসান সংবাদ মাধ্যমে জানান, ৪র্থ দিন গতকাল শনিবার আরো ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, রোববার এসব রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিআইটিআইডির পরিচালক। এর আগে আরো ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে তা ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠায় বিআইটিআইডি। তবে ১৫ জনের সবকয়টির রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
বিআইটিআইডি সূত্রের বরাতি চট্টগ্রামের শীর্ষ আঞ্চলিক দৈনিকে প্রকাশ, প্রথম দিন (বুধবার) সন্দেহজনক তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরদিন (বৃহস্পতিবার) সংগ্রহ করা করা হয় আরো ৫ জনের। ৩য় দিন (শুক্রবার) নেয়া হয় ৭ জনের নমুনা। সবমিলিয়ে তিনদিনে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল নমুনা নেয়া ৫ জনের রিপোর্ট পাওয়া যাবে আজ রোববার।
অ্যাম্বুলেন্সে ঘরে গিয়েই নেয়া হবে নমুনা : কারো শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে নমুনা দিতে সরাসরি হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। সন্দেহজনক ওই রোগী প্রথমে বিআইটিআইডির সাথে ফোনে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানাবেন। ওই ব্যক্তির লক্ষণ পর্যালোচনা করে বিআইটিআইডির করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ টিম সিদ্ধান্ত নেবেন পরীক্ষার প্রয়োজন আছে কিনা।
বিশেষজ্ঞ টিম পরীক্ষার পক্ষে মত দিলে নমুনা সংগ্রহের জন্য সন্দেজনক ওই রোগীর ঘরেই টিম পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অ্যাম্বুলেন্সযোগে একটি টিম গিয়ে এই নমুনা সংগ্রহ করবে। শুধু নমুনা সংগ্রহের জন্য আলাদা একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইটিআইডির করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ডা. মামুনুর রশীদ।
তিনি বলেন, আমাদের টেকনোলজিস্টসহ একটি টিম সন্দেহজনক রোগীর ঘরে গিয়েই নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে। তাই কারো শরীরে করোনভাইরাসের কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেই হাসপাতালে ছুটে আসার বা যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আগে ফোনে কথা বলে বিস্তারিত জানান। পরীক্ষার প্রয়োজন হলে নমুনা নিতে আমাদের টিম ঘরে পৌঁছে যাবে।
০২৪৪০৭৫০৪২ ও ০২৪৪০৭৫০৪৩ এই দুটি নম্বরে বিআইটিআইডি-তে যোগাযোগ করা যাবে। তবে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আজ-কালের মধ্যে আরো এক বা একাধিক মোবাইল নম্বর হট লাইন হিসেবে যোগ করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বিআইটিআইডির পরিচালক ডা. এম এ হাসান।