ভাষা মুখার্জি একজন বাঙ্গালী নারী, মাত্র নয় বছর বয়সে বাবা মার সাথে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে, বিট্রিশ পরিবেশে পড়াশুনা, বেড়ে উঠা তবে ভুলেননি বাংলা ভাষাটা। পড়াশুনা শেষে যোগ দেন জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে। এরই মাঝে শুরু হয় মিস ইংল্যান্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতা আসর। ভাষা মুখার্জি অনেকটা শখের বসেই সেই প্রত্যিযগিতায় নাম লেখান। বহু ইংরেজ সুন্দরীদের পিছনে ফেলে ২০১৯ সনে তিনি জিতে নেন মিস ইংল্যান্ড খেতাব
এরপর মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ড থেকে তাকে বাছাই করা হয়। বাঙ্গালী ইমিগ্রেনট ভাষা মুখার্জি ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।সুন্দরীর মুকুট মাথায় তুলে তাকে ছাড়তে হয় ডাক্তারি পেশা।
বিভিন্ন চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের অ্যামবেসেডর হিসেবে ভাষা মুখার্জি ছুটে চলেন আফ্রিকা, তুরস্ক, এশিয়ার নানান দেশে।।এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের থাবায় দুনিয়া কেঁপে উঠে, প্রভাব পড়ে ইংল্যান্ডেও। আক্রান্ত বহু মানুষ, মৃত প্রায় প্যাঁচ হাজার।
ভাষা মুখার্জি তার পুরনো ডাক্তার কলিগদের সাথে যোগাযোগ করেন, তারা জানায় পরিস্থিতি ভয়াবহ, আক্রান্তদের সেবা দিতে তাদের আরও অনেক ডাক্তার প্রয়োজন। ইংল্যান্ডের সেরা সুন্দরীর মুকুট মাথায় পরে এই দুর্যোগে মানুষের সেবা করতে না পারাটা ভাষা মুখার্জিকে দারুণ আহত করে।
একজন সেরা সুন্দরী নারীর কাছে মানুষ প্রত্যাশা করে, সে সবসময় সুন্দরীর রাজমুকুট মাথায় পরে থাকবে, তাকে দেখাবে স্বর্গের অপ্সরী। একদিকে মুখার্জির ডাক্তার কলিগরা রাতদিন সেবা করছে আর সে সুন্দরীর মুকুট মাথায় পড়ে নিরাপদ দূরত্বে বসে আছেন।
ইংল্যান্ডের সেরা সুন্দরীর মুকুট মাথায় পরে যদি তিনি ইংল্যান্ডের এই বিপদেই এগিয়ে না আসতে পারেন তবে কি লাভ এই মুকুটের। ভাষা মুখার্জি এইটা মানতে পারেন না, মহামারিতে ছুটে আসতে চান হাসপাতালে।
তিনি দেরী না করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যোগাযোগ করেন, মুখার্জি জানান এই বিপদে তিনি আবারো ডাক্তারি পেশায় ফিরতে চান। সেরা সুন্দরীর মুকুট খুলে রেখে ভাষা ম্যুখার্জি আবার হাতে তুলে নিচ্ছেন স্টেথসকোপ, তিনি ফিরছেন হাসপাতালে।