রাবি প্রতিনিধি: নিষিদ্ধ মাদক ‘আফিম’ তৈরীর কাঁচামাল হিসেবে পরিচিত ‘পপি ফুল’। মাদকদ্রব্যের গাছ হওয়ায় দেশে সব প্রজাতির পপির চাষ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)’র আবাসিক হলগুলোর বাগানে অন্যান্য ফুলের আড়ালে চাষ হচ্ছে নিষিদ্ধ ‘পপি ফুল’।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ৫টি আবাসিক হলের বাগানে আফিম তৈরির পপি গাছ রয়েছে। অন্য গাছের আড়ালে থাকায় পপি গাছগুলো দুরে থেকে পরিস্কারভাবে বুঝা যায় না। জিয়াউর রহমান হলের ১ম ও ২য় ব্লকের মাঝের বাগানে প্রায় ৪০টি, মাদার বখ্শ হলের ২য় ও ৩য় ব্লকের মাঝের বাগানে প্রায় ১০টি, শহীদ শামসুজ্জোহা হলের বাগানে প্রায় ১০০টি, সৈয়দ আমীর আলী হলের বাগানে ২০টি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ভেতরের বাগানে ৬-৭টি গাছ দেখা গেছে।
তবে হলগুলোর মালিদের দাবি, হলের শোভাবর্ধনের জন্য বাগানে অনেক আগে পপি গাছ লাগানো হয়েছিল। পরে সেগুলো তুলে ফেলা হয়। নতুন করে গাছ লাগানো হয় নি।
জিয়াউর রহমান হলের মালি মো. সানাউল্লাহ বলেন, বাগানে বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ রয়েছে। এবছরও অনেক ফুলগাছ নতুন করে লাগানো হয়েছে। পপি গাছ অনেক আগে লাগানো হয়েছিল। তখন হল প্রশাসনের নির্দেশে সেগুলো তুলে ফেলা হয়েছিল । হয়ত তার বীজ থেকেই বর্তমান গাছগুলো হয়েছে।
জানতে চাইলে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. জুলকার নায়েন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। হলে কর্তব্যরত মালির সঙ্গে কথা বলে তারপর আমি এবিষয়ে বলতে পারব।
এছাড়াও শাহ মখদুম ও শহীদ সামসুজ্জোহা হলের বাগানে দেখা মিলেছে একটি করে গাঁজার গাছের।
রিপন চন্দ্র রায়।