ঢাকা ব্যাংকের ২ কর্মকর্তার বি’রুদ্ধে অর্থ আ’ত্মসাত মা’মলার চার্জশিট দাখিলে দু’দকের অনুমোদন। জা’লিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকদের ৭ কোটি টাকা আ’ত্মসাতের মা’মলায় ঢাকা ব্যাংকের ফেনী শাখার ২ কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বি’রুদ্ধে করা মা’মলার চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দু’দক।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দু’দক কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। যাদের বি’রুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হচ্ছে তারা হলেন, প্রিন্সিপাল অফিসার ও ক্রেডিট ইনচার্জ গোলাম সাঈদ রাশেব, ক্যাশ ইনচার্জ আবদুস সামাদ এবং আজিম খন্দকার। যেকোন দিন আ’দালতে চার্জশিট দাখিল করবেন দু’দকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
দু’দক সূত্র জানায়, আ’সামি গোলাম সাঈদ রাশেব, আবদুস সামাদ ও আজিম খন্দকার পরস্পর যোগসাজশে প্র’তারণা ও জা’লিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংক লি. ফেনী শাখার প্রায় ৭ কোটি ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা উত্তোলনপূর্বক আ’ত্মসাতের অ’ভিযোগ ত’দন্তে প্রমাণিত হওয়ায় আ’সামিদের বি’রুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দু’র্নীতি দ’মন কমিশন।
আ’সামি গোলাম সাঈদ দীর্ঘ ৭ বছর ৯ মাস ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ফেনী শাখায় কর্মরত থাকায় বেশকিছু গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন। ব্যাংকের ক্রেডিট ইনচার্জ ও এলসি খোলার দায়িত্বে থাকায় গ্রাহকদের বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি ও সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করতেন। ক্রেডিট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশে বিদ্যমান ব্যাংক সময়ের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন ঋ’ণগ্রহিতার কাছ থেকে প্রতিটি ঋ’ণের বি’পরীতে কিছু স্বাক্ষরিত চেক লোন ডকুমেন্টের সঙ্গে সংরক্ষণ করতেন। এছাড়া বিভিন্ন গ্রাহকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় তিনি তাদের নিকট হতে বিভিন্ন সময়ে ঋ’ণ হিসাব সমন্বয়ের কথা বলে ঋ’ণগ্রহিতাদের নিকট হতে অগ্রিম চেক নিতেন।
পরে তিনি তার মে’কার আইডি ব্যবহার করে যেসব গ্রাহকের চেক তার কাছে ছিল তাদের হিসাবে অন্য গ্রাহকের টাকা স্থানান্তর করে ৭ কোটি ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার উত্তোলন এবং আ’ত্মসাৎ করেন। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ মো. আবদুস সামাদ ও আজিম খন্দকার। এ ঘটনায় দ’ণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দু’র্নীতি প্র’তিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় দু’দক কর্তৃক ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ ফেনী মডেল থা’নায় মা’মলা রুজু করা হয়, (নং ৩৩) ত’দন্তকালে অ’পরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বি’রুদ্ধে বর্ণিত ধারায় অভি’যোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দু’র্নীতি দ’মন কমিশন।