পাকিস্তানের অবস্থা দেখে শিক্ষনীয় একটাই দেশের ভালোর জন্য কারো কাছে মাথা নত না করে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে হবে। এ জন্য কেউ একনায়কতান্ত্রীক তকমা লাগালেও তাতে সন্তুষ্ট থেকেই উন্নতি করতে হবে দেশের।
আজ ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানের যেখানে ১৮৮ যেখানে বাংলাদেশি টাকা ৮৭। পাকিস্তানকে অপছন্দ করলেও ইমরান খানের কয়েকটি সিদ্ধান্ত ভালো লেগেছিলো তার মাঝে অন্যতম দুইটি প্রতিবেশির সাথে আপোষ আর নিজেদের স্বার্থে বাইরের কারো কাছে মাথা নত না করা। যদিও এগুলো প্রমান ছাড়া তার সরকারের অনাস্থা এর কারন। এখন সেনা তত্বাবধানে নতুন সরকার বসবে, কালোকে আবার তারাই সাদা করবে, আবার আরো তলানীর দিকে যাবে।
আমাদের দেশের নীতি বা সরকার নিয়ে অনেকে অনেক মন্তব্য করে, সরকার ভালো না বলে। কিন্তু পার্থক্য করে দেখেনা, একই প্রভাব আমাদের দেশে হলে জনগণের কি হবে! এ জায়গায় সরকার নিজের অবস্থানে শক্ত আছে, এছাড়া পররাষ্ট্রনীতি অনেক শক্ত এখন আমাদের। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়োজনে উন্মুক্ত সমালোচনা করে মোড়লদের। আবার প্রয়োজনে কাছে টেনে নেয় – শক্ত নরম এক ভাব। এটা ছাড়াও আমাদের আর্মড ফোর্সেস, সেনা-নৌ-বিমান-পুলিশ-আর্মড এজেন্সিস যেমন র্যাব এদের সাথে সরকারের বুঝাপড়া মতৌক্য যথেষ্ঠ ভালো এবং সামরিক বাহিনী অনেক আন্তরিক।
হ্যাঁ দুর্নীতি, অপশাসন(%) থাকবেই, কালান্তরে চলবে। কিন্তু দেখতে হবে সেটার পরিমাণ কেমন। অযৌক্তিক আলোচনায় অনেকে খুব বেশি দোষ টানলেও রেফারেন্স নথির হিসেবে অন্তত আগের যেকোনো সরকারের তুলনায় এখন ৯০% কম দুর্নীতি বা অপশাসন। বড় কথা এগুলোর মাঝেই দেশের উন্নতি করতে হবে তবে ভুলেও পাকিস্তান হতে দেয়া যাবেনা।
লেখকঃ তানভীর হাসান, সম্পাদক – সাম্প্রতিক সংবাদ।