জয়া আহসানের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। ঢালিউডের পাশাপাশি টালিউডেও শক্ত ভিত গড়তে সক্ষম হয়েছেন এ নায়িকা। অভিনয়ে জয়া আহসানের হাতেখড়ি প্রায় দুই দশক আগে। এই বয়সেও চলচ্চিত্রে জয়ার সাফল্য নিয়ে আলোচনা সর্বত্র।
জয়ার অভিনয়গুণ নিয়ে কারও প্রশ্ন না থাকলেও বারবার বয়স নিয়েও কথা উঠছে। ফেসবুকসহ সামাজিক ও গণমাধ্যমেও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। কখনও দাবি করা হয়েছে, জয়ার বয়স ৪৪, আবার কখনও সেটি ৪৭ বলা হয়েছে।
তবে এবার জয়া আহসানই নিজের বয়স জানালেন। ভারতীয় এক গণমাধ্যমে নিজের প্রকৃত বয়স জানিয়ে দেন জয়া। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী জানান, তার বয়স ৩৭ বছরের একদিনও বেশি নয়। উইকিপিডিয়ায় তাকে নিয়ে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে তার মধ্যে অনেক তথ্যই ভুল বলে দাবি জয়ার।
এর আগেও একবার বয়স নিয়ে মুখ খুলেছিলেন জয়া। তখন অবশ্য বয়স জানাননি। জয়া আহসান বলেছিলেন– ‘সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বয়স নয়; একজন শিল্পীর প্রকৃত পরিচয় হওয়া উচিত তার কাজে। ৪৬ কিংবা ৫৬ কিংবা তার চেয়েও বেশি বয়স হলেই অভিনেত্রীরা কাজের অযোগ্য কিংবা তারুণ্যদীপ্ত চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন না- এমন ধারণা বিশ্বের কোনো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিই পোষণ করে না। তাই ব্যক্তি জয়া আহসানের যে বয়স, তা নিয়ে আমি এতটুকু বিচলিত নই।
জয়ার দাবি, ৪৬ বছর আগে তার বাবা-মায়ের বিয়ে তো দূরের কথা, দেখাও হয়নি।
এতদিনে কেন বয়সের রহস্যভেদ করলেন সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন জয়া। ‘এতদিন বিষয়টি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছি। তবে ইদানীং বিষয়টি মাত্রাতিরিক্ত আকার ধারণ করায় পরিবার ও কাছের বন্ধুদের অনুরোধে লিখতে বাধ্য হয়েছি। সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ, একজন শিল্পীর জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরার আগে ন্যূনতম একবার তার সঙ্গে কথা বলা উচিত। কারণ শুধু বয়স ভুলের তথ্যই নয়, বিভিন্ন মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, আমার আরও দুই বোন ও এক ভাই রয়েছে (প্রকৃত তথ্য: আমরা দুই বোন ও এক ভাই)’ যোগ করেন জয়া।
বর্তমানে কলকাতার বেশ কিছু ছবি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জয়া। মুক্তির অপেক্ষায় অতনু ঘোষের ‘বিনি সুতো’ ও ‘রবিবার’। এই প্রথম ‘বিনি সুতো’ ছবিতে ঋত্বিক চক্রবর্তী আর ‘রবিবার’ ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন জয়া।