নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা, রোমান্টিক, অ্যাকশন থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের চরিত্রে সাবলীল ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারা এক দুরন্ত অভিনেতার নাম ইলিয়াস কাঞ্চন এবং বাংলাদেশের বৃহৎ সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ‘সড়ক যোদ্ধা’ ইলিয়াস কাঞ্চন এর আজ ৬৩তম জন্মদিন।
আপাদমস্তক নায়ক বলতে যা বুঝায় তাই তিনি। সুপুরুষের দৈহিক গঠন, সুশ্রী চেহারা, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, মন হরণ করা হাসি, পরিমিত তার উচ্চারণ ও বাচন ভঙ্গি। ঢাকাই ছবির বাদশা বাংলা চলচ্চিত্রের রাজকুমার, সুপারস্টার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ৬২ পেরিয়ে ৬৩তে পা রাখলেন আজ ২৪ ডিসেম্বর।
ইলিয়াস কাঞ্চন ১৯৫৬ সালের এই দিনে ২৪ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম হাজী আব্দুল আলী, মাতার নাম সরুফা খাতুন। তিনি ১৯৭৫ সালে কবি নজরুল সরকারী কলেজ থেকে এইস এস সি পাস করেন। পরবর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ফিল্ম ডিরেক্টর সুভাষ দত্ত পরিচালিত বসুন্ধরা সিনামাতে ১৯৭৭ সালে চলিচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে অভিনেতা হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।এর পর একে একে ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়ে তিনি চিরদিনের মত বাংলা চলচ্চিত্র প্রেমীদের অন্তরে জায়গা করে নেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র বেদের মেয়ে জোছনা।
সীমাহীন কষ্টের এক অসাধারণ প্রেমের গল্প বেদের মেয়ে জোছনা তাকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে আসে। যা এখনো বাংলাদেশের প্রায় সকল সিনামা প্রেমিদের মনে জায়গা করে রেখেছে। এরপর তিনি অসংখ্য দর্শক প্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দেন। নায়িকা হিসেবে কাঞ্চন তার বিপরীতে সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন চম্পা, দিতি ও অঞ্জু ঘোষকে। ইলিয়াস কাঞ্চন যৌথভাবে প্রথম প্রযোজনা করেন ‘সর্পরানী’ ও ‘বোনের মতো বোন’ চলচ্চিত্র এবং ২০০৮সালে চলচ্চিত্র নির্মান করে একজন সফল পরিচালকের খাতায় নাম লেখান। পরপর তিনি দুটি দর্শক প্রিয় চলচ্চিত্র নির্মান করেছেন। বাবা আমার বাবা এবং মায়ের স্বপ্ন। এছাড়াও তিনি বিভিন্য সময় ছোট পর্দায় নাটক টেলিফিল্ম নির্মান করছেন। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সচেতনমুলক অনেক নাটক ইতিমধ্যে নির্মান করে দর্শক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।