চিত্রনায়ক ফারুক সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শনিবার, দিনভর ফারুকের অসুস্থতার খবর বাতাসে ভাসতে থাকে।
সেই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে ফারুকের অবস্থা গুরুতর-এমন খবর। অবশ্য এমন খবরে বিভ্রান্ত হয়েছে ফারুকের পরিবার থেকেই।
দেশের সধীর্ষ গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় ফারুক সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন, অবস্থা গুরুতর।
এমন খবর যেমন পরিবার থেকে এসেছে ঠিকই তেমনই এই খবরেই শঙ্কিত হয়েছেন পরিবারের সদস্যরাই। কেননা আসমা নামের ফারুকের একজন ভাতিজি গণমাধ্যমে যে খবর দিয়েছিলেন সে খবরকে নাকচ করে দেন ফারুকের ছেলে শরৎ।
শনিবার দিবাগত রাতে সঙ্গে আলাপকালে রোশন হোসেন পাঠান শরৎ বলেন, এই খবর গণমাধ্যমে দেখে আমরা বিভ্রান্ত হয়েছি।
বাবা সিঙ্গাপুরে রয়েছেন এটা ঠিক। কিন্তু তাই বলে আইসিইউ? আমার এক কাজিন এই খবর ছড়িয়েছেন যেটা আদতে সত্য নয়। বাবা কেবিনে রয়েছেন। খুব স্বাভাবিক রয়েছেন। যদি বলতে হয়, তাহলে বলবো বাবা ভালো আছেন।
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসক ড. লাই-এর অধীনে ঢাকাই এই অভিনেতা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে গত ৪ মার্চ জ্বর নিয়ে রাজধানীর দুই হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়।
রোগ শনাক্ত না হওয়ায় সিঙ্গাপুরে যান ফারুক। এরপর সেখানে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এমনটাই শরৎ জানালেন।
বাবা-মা গত ৪ তারিখে সিঙ্গাপুরে যান। সেখানে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকেন। এরপর হাসপাতালে ৯ মার্চ ভর্তি হন। আপনারা হয়তো জানেন বাবার টিবি (যক্ষ্মা) হয়েছিল।
যার ফলে সেখানে পরীক্ষা করাতে রক্তে ইনফেকশন ধরা পড়ে। যেটা গুরুতর কিছু নয়। এই হাসপাতালেই যেহেতু টিবি ধরা পড়েছিল তাই বাবা-মা সেখানেই চলে যান।
এক সময়ে জনপ্রিয় এ চিত্রনায়ক ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
আকবর হোসেন পাঠান দুলু ফারুক নামে অধিক পরিচিত। অভিনেতার পাশপাশি তিনি প্রযোজক, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ।
এইচ আকবর পরিচালিত জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক ফারুক বড় পর্দায় আসেন। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে সারেং বৌ, লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, মিয়া ভাই, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে ইত্যাদি।