এনসিবি কর্মকর্তাদের সামনে সৌভিককে দিয়ে মাদক আনানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রিয়া। তবে সেই মাদক সুশান্তের জন্যই আনানো হত না অন্য কারও জন্য, সে বিষয়ে কিছু জানাননি রিয়া। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রিয়াকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। ইতিমধ্যেই রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডে তার গ্রেপ্তারির জল্পনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন, “উইচ-হান্টের এই খেলায় রিয়া চক্রবর্তী গ্রেপ্তার হতে তৈরি।
যদি কাউকে ভালবাসা অপরাধ হয়, তাহলে তিনি এর পরিণাম ভুগতে তৈরি। নিরপরাধ হয়েও তিনি বিহার পুলিশ, সিবিআই, ইডি, এনসিবি কোনও মামলায় আদালতে অগ্রিম জামিনের জন্য আরজি জানাননি।” টানা ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রিয়া চক্রবর্তীকে ছাড়লেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মদক আনানোর কথা নাকি স্বীকার করে নিয়েছেন রিয়া। তবে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রেমিকাকে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় মাদক তদন্তে ইতিমধ্যেই রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত এবং হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে করণ অরোরা, আব্বাস লাখানি, জায়েদ ভিলাত্রা, আবদুল বসিত ও কেইজান ইব্রাহিমকেও।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রিয়ার বাড়িতে এনসিবি কর্মকর্তা যান এবং সাড়ে দশটার সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির থাকতে বলা হয়। সেখান থেকে শোনা গিয়েছে, সৌভিক, স্যামুয়েল এবং দীপেশের সঙ্গে বসিয়ে রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রিয়া এবং সৌভিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পাশাপাশি সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআইয়ের বিশেষ দল। রোববার DRDO গেস্ট হাউসে সুশান্তের দিদি মীতু সিংকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শোনা গিয়েছে, AIIMS-এর ফরেনসিক রিপোর্ট আসার পরই সুশান্ত মামলায় পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এর আগে, সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সুশান্তের বাবুর্চি দীপেশকে। এরইমধ্যে সম্প্রতি মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের বাড়ির ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা। এই তিনজনসহ ৭ জনকে মাদকের মামলায় গ্রেফতার করেছে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।