মান্না বেঁচে থাকলে শাকিব খান এই পর্যায়ে আসতে পারতেন না। এখন যে পর্যায়ে শাকিব খান অবস্থান করে নিয়েছেন, সেই অবস্থানে আসলেও তাকে অনেক কষ্ট করতে হতো।
একটি ফেসবুক লাইভে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন, এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক কাজী মারুফ। অনুষ্ঠানে এই নায়ক নিজের নায়ক হবার পেছনেও মান্নার অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
মারুফ বলেন, আমি বসি না। এই না বসার কারণেই কাজী মারুফের জন্ম হয়েছে। এর ব্যাখ্যা জানতে চান উপস্থাপক তানভীর তারেক।
ক্যাপ্টেন মারুফ খ্যাত মারুফ বলেন, একদিন সহকারী পরিচালক মান্না আঙ্কেলকে ডাকতে যান শট দেয়ার জন্য। মান্না আঙ্কেল চেয়ার ছেড়ে ওঠেন নি।
বলেছিলেন, যা আমি যাবো না। আব্বা (কাজী হায়াত) খুব মন খারাপ করেছিল। এরপরেই আমাকে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসে। যার কারণে শুটিঙের সময় আমি বসি না।
মারুফ বলেন, মান্না আংকেল বেঁচে থাকলে শাকিব খান তার এই অবস্থানে আসতে পারতেন না। কারণ মান্না আংকেল সিনেমা নিয়ে যে ভাবনা ছিল সেই ভাবনা শাকিব খানের নেই। আর মান্না আংকেল কিন্তু পলিটিক্স খুব ভালো বুঝতেন।
কোন ছবিতে কাকে ব্যবহার করলে তার সিনেমাটি হিট হবে তিনি তাই করতেন। যেমন, একটা উদাহরণ দেই, মৌসুমী ও শাবনূর জনপ্রিয় নায়িকা। তাদের একসঙ্গে কেউ সিনেমায় আনতে পারেননি।
মান্না আংকেল ঠিকই তাদের একসঙ্গে নিয়ে এসে সিনেমা নির্মাণ করে সুপারহিট করে নিলেন। এই যে তার ফিল্ম পলিটিক্স এটা কারও ভেতরেই ছিল না। যেটা শাকিব খানেরও নেই। তাই শাকিব খানকে মান্না আংকেল বেঁচে থাকলে তাকে অনেক সাধনা করতে হতো। শাকিব নিজেও কিন্তু এই বিষয়টি স্বীকার করেন।
মান্না আংকেল আমার বাবাকে (কাজী হায়াত) বলতেন হায়াত ভাই আপনি ফিল্ম পলিটিক্স সম্পর্কে কিছুই বোঝেন না। আসলেই বাবা কিন্তু এসবের কিছুই বুঝতেন না। ফিল্মে পলিটিক্স সম্পর্কে যে না বুঝবে সে কিন্তু কিছুই করতে পারবেন না।
শুধু শাকিব খান না, মান্না আংকেল থাকলে এখন অর্থাৎ ২০২০ সালে এসেও তার রাজত্ব থাকত।