তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে বিদ্যাজ্ঞান,বাণী ও সুরের দেবী মা সরস্বতী। প্রতিবছরের মত এবারো তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সনাতন ধর্মালম্বীদের বাড়ি বাড়ি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরাবরের মত এ বছরও উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র ভাটি তাহিরপুর গ্রামে স্বরস্বতি পূজা সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ বছর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ তৈরী হয়েছে ভাটি তাহিরপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত এ স্বরস্বতি পূজায়।
বৃহস্পতিবার ভাটি তাহিরপুর উদীয়মান প্রজন্মের আয়োজনে অনুষ্ঠিত স্বরস্বতি পূজায় গ্রামের হিন্দু যুবকদের পাশাপাশি কয়েকজন মুসলিম যুবকও পূজার আয়োজনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন। প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে অনুষ্ঠিত পূজার যোগান দিতে গিয়ে কয়েকজন মুসলিম যুবক নিজেরা অর্থনৈতিক সহযোগিতা করেও উপস্থিত থেকে পূজার প্রায় সকল কার্যক্রমেই সহযোগিতা করেন।
দিনভর পূজার নানা আয়োজন শেষে রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাউল গানের আসর। শীতের রাতে এমন বাউল গানের আসরে উপস্থিত হয়েছিল কয়েক শতাধিক জনতা। উপচে পড়া জনতাকে সামাল দিতেও ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছে কয়েকজন মুসলিম যুবক।
পূজার সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা ও মুসলিম যুবকদের এমন অংশ গ্রহণে উপজেলা বাসী মনে করছেন, যেন এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ তৈরী হয়েছে ভাটি তাহিরপুর গ্রামের এ স্বরস্বতি পূজায়।
পূজায় মুসলিম যুবকদের মধ্যে অংশ গ্রহণকারী ছাত্র নেতা আবুল কাশেম, আশ্রাউজ্জামান ইমন,জাহিদ হাসান রুবেল জানান,বর্তমান সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে দেশ অনেক এগিয়ে। “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” এ স্লো’গানকে বুকে ধারণ করে আমাদের গ্রামের স্বরস্বতি পূজায় সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করেছি।
ভাটি তাহিরপুর উদীয়মান প্রজন্মের আয়োজনে অনুষ্ঠিত পূজার প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাংবাদিক রাজন চন্দ বলেন,বিভিন্ন আয়োজনের দিক থেকে উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ব্যায়বহুল ও আকর্ষণীয় পূজা হয়েছে আমাদের গ্রামে। এর মূল কারণ ছিল হিন্দু যুবকদের পাশাপাশি পূজার সকল আয়োজনে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছে আমার কয়েকজন মুসলিম ভাই ও বন্ধুরা।