মহামারিকালে গত ৪০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন জিডিপি ভারতের। কাজ হারিয়েছেন ৪১ লাখ মানুষ।
কিন্তু তাতে কী? এই করোনা সঙ্কটের মধ্যেও গত ৬ মাসে দেশটিতে নতুন ১৫ জন শত কোটিপতি (বিলিওনিয়ার) তৈরি হয়েছে।
‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনের রিয়েল টাইম বিলিওনিয়ার তালিকায় আপাতত মোট ১১৭ জন ভারতীয়ের নাম রয়েছে।
করোনাকালে ওই সংখ্যা বেড়েছে ১৫ জন। ওই ১১৭ জন ভারতীয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি ডলার।
যাকে ধনী-গরিবের মধ্যে পার্থক্য আরো বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।
শত কোটিপতির তালিকায় ভারতের মুকেশ অম্বানী ৬ নম্বরে। ভারত তো বটেই, এশিয়ার মধ্যেও ধনীতম ধনী রিলায়েন্স কর্ণধার। ১৮ সেপ্টেম্বরের হিসাব বলছে, তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮ হাজার ৮২০ কোটি ডলার। ভারতে দ্বিতীয় স্থানে এইচসিএল টেকনোলজিস-এর প্রতিষ্ঠাতা শিব নাদার।
২ হাজার ৬০ কোটি ডলারের মালিক নাদার বিশ্বে ৬৪ নম্বরে। এর পর ভারতীয়দের তালিকায় ক্রমপর্যায়ে রয়েছেন আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি, কোটাক মহিন্দ্রা গ্রুপের কর্ণধার উদয় কোটাক, ডিমার্ট-এর কর্ণধার রাধাকৃষ্ণ দামানি ও তার পরিবার, সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার সাইরাস পুণাওয়ালার মতো ব্যবসায়ীরা।
ফোর্বস-এর তালিকায় নতুন যে ১০০ কোটি ডলারের মালিকরা ঢুকেছেন, তারা তালিকার শেষের দিকেই থাকবেন। ভারতীয় শত কোটিপতিদের তালিকায় সবচেয়ে নীচে আপাতত ওয়েলস্প্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান বালকৃষ্ণ গোয়েঙ্কা।
১৮ সেপ্টেম্বর তার সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার ছুঁয়েছে। তার উপরে ক্রমান্বয়ে রয়েছেন রাধেশ্যাম আগরওয়াল, রাধেশ্যাম গোয়েনকা, বিনি বনসল, মুরলীধর বিমল কুমার জ্ঞানচন্দানি।
তাদের সম্পত্তির পরিমাণ ১০১ কোটি ডলারের আশেপাশে।