সাম্প্রতিক শিরোনাম

১৫ ডিসেম্বর, ব্রিগেডিয়ার সন্ত সিংহের অদম্য সাহসিকতা ও মিত্রবাহিনীর জয়

ভারতীয় ১৩ গার্ড এর একটি কোম্পানি নয়ারহাটে রেখে অবশিষ্ট বাহিনী সাভার রওয়ানা হয়। ১৫ ডিসেম্বর ভোরে সাভার সামরিক এলাকা এবং রেডিও ট্রান্সমিশন টাওয়ার দখল করে। বেলা ১১ টায় সাভারে ১৩ গার্ডের সামনের অংশ পাক বাহিনীর মুখোমুখি হয়। ভারতীয় ব্রিগেড কম্যান্ডারের হাতে পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকা সত্ত্বেও মাত্র এক কোম্পানি সৈন্য দিয়েই তিনি আক্রমন করলেন। এখানে পাক বাহিনীর ১৮ জন নিহত ২০ জন আহত হয়। ভারতীয় বাহিনীর ৮ জন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়।
এখান থেকে ৫৪টি রাইফেল ১টি রকেট লাঞ্চার ৬টি এলএমজি সহ প্রচুর গোলাবারুদ আটক করে। ব্রিগেডিয়ার সন্ত সিংহ এর এই সাফল্য লাভে মেজর জেনারেল নাগড়া ২ প্যারার যে টুকু সৈন্য ছিল তা সন্ত সিংহ এর অধীনে দিয়ে দেন। রাত ১০টায় ২ প্যারা সাভার থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। রাত দু’টায় মীরপুর ব্রিজের কাছে মিত্রবাহিনী পাক সৈন্যের মুখোমুখি হয়। মিত্রবাহিনী ব্রিজ দখলের জন্য প্রথমে কমান্ডো পদ্ধতিতে আক্রমণ শুরু করে। ব্রিজের ও পাশ থেকে পাকবাহিনী মুহুর্মূহু গোলাবর্ষণ করতে থাকে। এ সময় মিত্রবাহিনীর আরেকটি দল এসে পশ্চিম পাড় দিয়ে আক্রমণ চালায়। সারারাত তুমুল যুদ্ধ চলে।
মিত্রবাহিনী ঢাকার অদূরে টঙ্গীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তুরাগের পাড়ে পাকবাহিনীর মুখোমুখি হয়। শত্রুসৈন্যরা এখানে ব্রিগেডিয়ার কাশিমের কম্যান্ডে আর্টিলারি সুবিধা সহ শক্তিশালী প্রতিবন্ধকতা গড়ে তুলেছিল। কয়েকটি ট্যাঙ্ক তাদের সাথে ছিল। এই বাহিনীর বেশীরভাগ এপকাফ এবং সাধারন সেনা। এখানে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাহায্য নেয়া হয় বিমান বাহিনী পাক অবস্থানে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে। এখানে ৬ শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রি এবং ১ মারাঠা রাইফেলস এর এক কোম্পানি পাকিস্তানীদের মোকাবেলা করে।
ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে শীতলক্ষ্যার পাড়ে ডেমরায় মিত্রবাহিনী পাক প্রতিরোধ ব্যুহের ওপর আঘাত হানে। যা পরদিন ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। সারেন্ডারের আগে ডেমরার যুদ্ধকে শেষ যুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করা হয়। আর একটি দল শীতলক্ষ্যা পার হয়ে নাওরায় অবস্থান নেয়। একই সময়ে দুটি বাহিনী ঢাকার দ্বারপ্রান্তে চলে আসায় আক্রমন নিয়ন্ত্রন করার জন্য ১০১ কমুনিকেশন জোনকে (উত্তরের বাহিনী) দুপুরে ৪ কোর এর অধীনে নেস্ত করা হয়। ফলে ঢাকা দখলের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা নেন লেঃ জেনারেল সগত সিংহ। ক্যান্টনমেন্ট মিরপুরের কাছে বলেই নাগড়াকে তিনি প্রথম অপশন দিয়ে রাখেন। ভোর রাতের চূড়ান্ত আক্রমনের জন্য নাগড়া প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেন।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...