আবুধাবি বিমানবন্দরে ৯ বছর আগে বাংলাদেশি দুই যাত্রীকে হয়রানির অভিযোগে ওই দুই যাত্রীর প্রত্যেককে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এ অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এক রায়ে এ নির্দেশনা দেন।
হয়রানির শিকার বাংলাদেশি যাত্রী তানজিন বৃষ্টির করা এক রিট আবেদনে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত। রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ ও অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল। ইতিহাদ-এর কান্ট্রি ম্যনেজারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও মো. আজিজ উল্লাহ ইমন।
রায়ে আদালত ইতিহাদ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জেন্ডার বা শরীরের রং বিবেচনায় ভবিষ্যতে যেন আর কোনো যাত্রীর সঙ্গে এরকম আচরন করা না হয়।
আদালত বলেন, দু’জন নারীকে আবুধাবি বিমানবন্দরে যে হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়েছে তা অর্থদণ্ডের পরিমাপ করা যায় না।
আবুধাবি বিমানবন্দরে ২০১১ সালের ২৮ জুন হয়রানি/নির্যাতন/আটকের শিকার হন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী এবং তার মেয়ে তানজিন বৃষ্টি। অ্যাডভোকেট যুথী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সহধর্মিনী।
তাদের কানাডা যেতে না দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তারা দেশে ফিরে ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট আবেদন করেন। এ রিট আবেদনে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ১৪ জুলাই রুল জারি করেন। পাশাপাশি ইতিহাদ এয়ারওয়েজের কান্ট্রি ম্যানেজারকে তলব করেন।
এছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ঘটনা তদন্ত করে একটি রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়েছে।