শতাব্দীর ভয়াবহ মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে বিশ্বে এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯৮ হাজার পেরিয়ে যায়, মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৭,৭১৭। এর সিংহভাগই ইউরোপের। জার্মানিতেও এ দিন ২৫৪ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
এপর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ১৯ হাজার ১৬০ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, ইউরোপে যে ভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস, তা নিয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ তারা। তবে ইউরোপের মধ্যেও শীর্ষে ইতালি-স্পেন। এ দিনও ৭৫৭ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয় স্পেনে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সে দেশে করোনায় প্রাণ গিয়েছে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষের। ইতালি অবশ্য স্পেনের উপরে। এ দিন ৫৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। সব মিলিয়ে করোনার বলি সাড়ে সতেরো হাজারেরও বেশি। এ দিন বিদেশি জাহাজগুলির জন্য দেশের বন্দর বন্ধ করেছে ইতালি।
করোনার হাহাকার বিশ্বজুড়ে। এই পরিস্থিতিতে করোনায় মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বে ৭০ তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। তবুও দক্ষিণ এশিয়ায় করোনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।তুলনামূলকভাবে করোনায় বিধ্বস্ত অনেক দেশের থেকে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার বেশি।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্য়ালয় সূত্রে প্রকাশ বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ১০.৪০ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশে। বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর হার ৫.৮ শতাংশ। সেদিক থেকে দেখলে বিশ্বে মৃত্যুর হারের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার প্রায় দ্বিগুণ।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশে ৫৪ জনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত একদিনে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা বাংলাদেশে। করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২১৮। অন্যদিকে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্য়ালয় সূত্রে খবর, ভারতে মৃত্যুর হার ২.৮ শতাংশ, পাকিস্তানে মৃত্যুর হার ১.৪ শতাংশ, আফগানিস্তানে মৃত্যুর হার ৩.৩ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কায় মৃত্যুর হার ৩.২ শতাংশ। নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপে এখনও করনোয় মৃত্যু হয়নি।