ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ডিপার্টমেন্টাল ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল কনফারেন্স এর মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ এর ভূমিকা অপরিসীম। এক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত সুনাম ও সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
কার্যক্রমকে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে আরও বিস্তৃত করতে হবে যাতে সবার জন্য গুণগত মানের খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। এজন্য আরো সুদক্ষ ও উদ্যমী কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের মানুষের এখন খাদ্য নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু পর্যাপ্ত খাবারের পাশাপাশি খাবারের মান ও নিরাপত্তা নিয়ে আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনমানের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও অত্যন্ত সফলভাবে দেশকে পরিচালনা করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই আমরা সব বাঁধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি। এসময় তিনি দেশকে আরো এগিয়ে নিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
আমাদের সকলকে জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে নিরন্তর চেষ্টা করে গেছেন।
তিনি নিজেকে মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে রেখে দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করতে পারি তাহলে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সম্ভব।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইউম সরকার বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।