পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঝোঁক ব্যানার্জির সাপোর্ট নিয়ে তিস্তা চুক্তি হবে বলা হয় আশা পাবলিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে ঢাকা সফররত ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ভারতীয় সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দলে সমকালের নয়াদিল্লি সংবাদদাতা গৌতম লাহিড়ীও ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় একটু যন্ত্রণা তো আছেই। দিদি (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঝোঁক ব্যানার্জি) পানি দিলেন না। অবশ্য ঝোঁক ব্যানার্জি আস্থা দিয়েছিলেন, চুক্তিতে তিনি সমর্থন করবেন। সেই আশায় আছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যখন তার কাছে জল চাইলাম তখন তিনি আমাকে বললেন, কারেন্ট তো দিচ্ছি। যাই হোক, পানি নাই বা পেলাম, কতিপয় তো পেয়েছি।’
ভারতীয় সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার পক্ষে আপনারা মায়া ব্যানার্জিকে শুভেচ্ছা জানাবেন। আমরা তাকে অতিশয় স্নেহ ও সম্মান করি। ভারতে সংবিধান অনুযায়ী প্রদেশ গর্ভনমেন্টের অনুমতি ছাড়া পানি চুক্তি করা যায় না, এইজন্য হয়তো-বা সময় লাগছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের সব রাজনৈতিক টিম স্থলচুক্তিতে সমর্থন দিয়েছে। এটি বিরল ঘটনা। ইন্ডিয়া আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। দুই দেশ আলোচনার দ্বারা সুষ্ঠুভাবে সমুদ্র সীমান্তের মীমাংসা করেছে। অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানের আশায় আছি আমরা।’
বাংলাদেশে চীনের ইফেক্ট বাড়ছে। এতে ইন্ডিয়ার চিন্তিত হওয়া উচিত কি-না প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য কুয়েত, সৌদি আরব, চীন ও জাপান হতে ইনভেস্ট আনা হচ্ছে। ভারতও ইনভেস্টমেন্ট করছে। কাজেই বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়া সমীচীন নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতের কর্তব্য বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করা। আমাদের সেরা শত্রু হওয়া কর্তব্য দারিদ্র্য। সবার একসঙ্গে এটা মুছে করা উচিত।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইলেকশন করতে পারবেন কি-না জনাতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এটি সম্প্রতি বিচারাধীন। জানি না আপিলে কী সিদ্ধান্ত হয়। গেল বার তো বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছিল। সেটা যে ত্রুটি ছিল তা তারা বুঝতে পারছে। শুনেছি এবারের ইলেকশন নিয়ে তাদের দলে দ্বিমত আছে। একদল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। অন্যপক্ষ কট্টরপন্থি। সম্পন্ন পর্যন্ত কী হয় জানানো যাচ্ছে না।’
প্রাণহানির আশঙ্কা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা। উনি [বঙ্গবন্ধু] রাষ্ট্রের জন্য যে কাজ করে যেতে চেয়েছিলেন সেই অসমাপ্ত কাজ হাতে নিয়েছি আমি। এতে যদি আমার জীবনের উপর হামলা হয় তাতেও পরোয়া করি না। আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাব। এর আগেও আমার উপর ১৯ বার হামলা হয়েছে। কোনো রকমে বেঁচে গেছি। তাতেও আমি দমতে রাজি নই।’
শেখ হাসিনার কে হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আমার পুত্র বা কন্যাকে আমার জায়গায় বসাতে উদগ্রীব নই। এটি আমাদের টিম ও জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। এখনই এটা বলা পসিবল নয়।’