দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় স্থানকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চায় সরকার। সেজন্য পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানগুলোর ব্র্যান্ডিংয়ের কথা জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের মাধ্য ধারাবাহিকভাবে আয়োজিত দেশের ৬৪ জেলার জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মচারি, গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যটন অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমাদের পর্যটন আকর্ষণগুলোর সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে। পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানগুলোগুলোকে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করার জন্য দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় স্থানকে চিহ্নিত করে ব্র্যান্ডিংয়ে মাধ্যমে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরা হবে।’
রোববার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত জয়পুরহাট জেলার সঙ্গে এক অনলাইন কর্মশালায় অংশ নিয়ে একথা জানান তিনি।
সারাদেশে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণসহ নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পর্যটনের কথা বিবেচনায় রাখলে দেশে নতুন নতুন পর্যটন আকর্ষণ ও গন্তব্য তৈরি করা সম্ভব। পর্যটনের কাঙ্ক্ষিত বিকাশ করতে হলে এর সঙ্গে স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, গণমাধ্যমকর্মী ও সকল অংশীজনকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হতে হবে। পর্যটন একটি জনমুখী শিল্প। দেশের প্রান্তিক জনগণকে পর্যটন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পর্যটনের স্থানীয় সকল অংশীজনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন, বিকাশ ও বিশ্বের কাছে দেশের তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড গঠন করেছেন বলে উল্লেখ করেন মাহবুব আলী।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ জাবেরের সঞ্চালনায় ও জয়পুরহাট জেলার জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সেক্টরের অংশীজন।