রবিবার মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানির প্রাধিকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে ‘এনার্জি সিরারিও অব বাংলাদেশ : প্রসপেক্ট চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এ আহ্বান জানান তিনি।বিদ্যুৎ-জ্বালানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহারে আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। তাহলে বেশি মানুষকে সুবিধা দেওয়া যাবে।
বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের জন্যই বাংলাদেশ একটি শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি প্রাথমিক জ্বালানির সরবরাহ অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই দেশে জ্বালানি নিরাপত্তার ভিত্তি রচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি, পেট্রল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, কয়লা ও পাথর উৎপাদন বৃদ্ধি এবং এলপিজির ব্যবহার বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করা বা বিকল্প গ্যাস হিসেবে এলএনজি আমদানির মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এলপিজি ব্যবহার বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ, ২০০৯ সালে ব্যবহার হতো ৪৫ হাজার মেট্রিক টন যা ২০১৯ সালে হয়েছে সাত লাখ মেট্রিক টন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে।
সাশ্রয়ী কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো সিঙ্গেল পয়েন্ট মরিং, ইআরএল ইউনিট-২, ফ্লুটিং স্টোরেজ রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট, এলএনজি টার্মিনাল, চট্টগ্রাম হতে পাইপলাইনে তেল পরিবহন উল্লেখযোগ্য যা বাস্তবায়নের পথে।
পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মো. কামরুজ্জামান। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জ্বালানি, মানব সম্পদ উন্নয়নে জ্বালানি, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বর্তমান অবস্থা, নির্ভরযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি, গ্যাস অনুসন্ধান, কয়লা, জীবাশ্ম জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা প্রভৃতি বিষয়ে মূল প্রবন্ধে আলোকপাত করা হয়।
সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য আবু জহির, বিপিসির চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিএম আবদুল ফাত্তাহ্।