বিচার বিভাগ অবশ্যই স্বাধীন। সংবিধান অনুযায়ী বিচারকার্যে বিচারকরা স্বাধীন। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে বিলম্বিত বিচার হলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।
এটা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদেরকে বিচার বিভাগের মর্যাদা বজায় রেখে ন্যায়বিচার করতে হবে এবং জনগণের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আমি বিশ্বাস করি, বিচার বিভাগের সব কর্মকর্তা এই দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রস্তুত এবং দক্ষ।
জনগণ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাঁরা আপনাদের কাছে সুষ্ঠু বিচার চায়। আপনারা তাঁদেরকে সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার দেবেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের নতুন বিচারকদের জন্য ভার্চুয়ালি আয়োজিত পঞ্চম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত পাঁচ দিন মেয়াদি এ প্রশিক্ষণে জেলা জজ পদমর্যাদার ৩৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিয়েছেন।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন।
আমাদের প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে। আজকে করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ এসেছে। ভবিষ্যতে কী চ্যালেঞ্জ আসবে জানি না। তবে ভবিষ্যতেও চ্যালেঞ্জ আসবে। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এ জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য প্রশিক্ষিত হতে হবে।
নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য যে সক্ষমতা প্রয়োজন, যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন, সেটা শেখ হাসিনার সরকার করবে। কারণ তাঁর সরকারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হচ্ছে, জনগণের কাছে তাঁদের সব সেবা পৌঁছে দেওয়া। জনগণের কাছে বিচারসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তার সবই সরকার করবে।
তিনি বলেন, চলতি বছর আমরা অন্তত ছয় লাখ মামলা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
এ অবস্থায় চলতি বছরের বাকি চার মাস সময়ে দেড় লাখ মামলাজট কমাতে আপনাদের সহযোগিতা চাই।