মাগুরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে কারা হামলা করেছে তা তদন্ত হওয়া দরকার। এ ঘটনা তাঁদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ কিনা- তা খতিয়ে দেখাও দরকার।
জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে রবিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মাগুরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে কারা হামলা করেছে তা তদন্ত হওয়া দরকার। এ ঘটনা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ কিনা- তা খতিয়ে দেখাও দরকার।
তিনি বলেন, অপরাধী কোনো দলের নয়; কিন্তু কোনো ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে বিএনপি আবার অভিযোগ করে বলে সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে মুখে শেখ ফরিদ আর বগলে ইট। নির্বাচনের পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যেতে নানান অগণতান্ত্রিক পথ খোঁজা বিএনপির পুরনো অভ্যাস।
তাঁদের দুঃশাসন এখনো মানুষকে তাড়া করে, তাই তাঁরা জনমানুষের আস্থা হারিয়েছেন।
সরকার শাসন দীর্ঘায়িত করতে চায়- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে পরবর্তী নির্বাচন হবে।
তাই শাসন দীর্ঘায়িত করার সরকারের কোনো ইচ্ছাও নেই, সুযোগও নেই।তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব দেশের মানুষের স্বস্তি দেখতে পান না, দেখতে পান অপরাধীদের ভীতসন্ত্রস্ত মুখচ্ছবি।
শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নবান্ধব সরকার, দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিচ্ছে বলেই জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করছে বলেও জানান তিনি।
যেসব জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়নি এবং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব জেলায় দ্রুত কাউন্সিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জেলা সম্মেলনের আগে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে। তিনি নেতাকর্মীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাউন্সিল করার নির্দেশ দেন।
চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, দখলদার ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কাউকে দলে নেওয়া যাবে না বলে আবারো স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্যাগী নেতাকর্মীদের জন্য রাজনীতিতে টিকে থাকার এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ সৃষ্টি করে দিতে হবে।