মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে আগত রাষ্ট্রীয় অতিথিদেরকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল ও সমাবেশে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠান চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীদের ওপর মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আহতরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুপুর থেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। সমাবেশস্থলে মাইকের মাধ্যমে দেশের গান বাজতে থাকে।
একপর্যায়ে বিকাল চারটার দিকে দেশের গান বন্ধ করে দিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ জুবায়ের আহমেদের অনুসারীরা স্লোগান দিতে থাকে। সেসময় সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুইজন কর্মী স্লোগান বন্ধ করে গান চালাতে বলেন। কিন্তু মহানগরের নেতাকর্মীরা অস্বীকৃতি জানালে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে মহানগরের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপক মারধর করে। জুবায়ের নিজে ‘ফ্লাইং কিক’ দিয়ে তার নেতাকর্মীদের মারতে নির্দেশ দেন। শহীদ মিনারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলে তা স্পষ্ট হবে।
মারধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ সময় ঢাবি সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা করতে এলে নেতাকর্মীরা সাদ্দাম হোসেন সেখান থেকে চলে আসেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন কালের কন্ঠকে বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনের মতো একটা মহৎ অনুষ্ঠানে এই ধরণের হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী এই কর্মকান্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানায়।
মারামারির ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ নিজে আহত হয়েছেন। জুবায়ের আহমেদের মুখে কাটার আঘাত দেখা গেছে।
তার দাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে হামলা চালানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে সাদ্দাম হোসেন সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করছে।
হামলার বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, সাদ্দাম নিজে ইন্ধন দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে।
আমি পরিচয় দেওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নেতাকর্মী আমার ওপর হামলা করেছে। এতে আমার মুখ কেটে গেছে। এখন উল্টো সাদ্দাম মিথ্যাচার করছে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, মারধরের ঘটনা ঘটেনি, শুনলাম কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে আমরা খোজ-খবর নিচ্ছি। কেউ জড়িত থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।