প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ আশ্রয়স্থল।
মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানো, তাদের জন্য বীর নিবাস তৈরী করে দেয়া, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া, সরকারি যানবাহনে বিনা পয়সায় যাতায়াতের সুযোগ করে দেয়া, হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
এ সুযোগ দেশে আর কেউ করে দেননি। শেখ হাসিনা মনে করেন মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী আছে, তাদের অধিকার আছে। বাংলাদেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা গৃহহীন থাকবেন না। একজন মুক্তিযোদ্ধা না খেয়ে থাকবেন না, তার পরিবারের সদস্যরা অসহায় থাকবেন না।
রবিবার পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের সভাকক্ষে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আয়োজিত অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে চিকিৎসা সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, নাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, জেলা হাসাপাতালের কর্মকর্তাবৃন্দ ও পিরোজপুরের মুক্তিযোদ্ধাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, বাঙালি জাতি থাকবে, প্রগতির চিন্তা-চেতনা থাকবে, অসাম্প্রদায়িকতা থাকবে ততদিন মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধারা চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন।
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের পতাকা উড্ডীন করার যে গৌরব দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের, এই গৌরবের অংশীদার আর কারো হওয়ার সুযোগ নেই। যেকোন বিপন্ন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য আমি সহায়তা করবো।
বিপদে একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারলে আমি গর্বিত হবো। এ সুযোগ আপনারা আমাকে দেবেন। আমি আপনাদের পাশে আছি।
রবিবার সকালে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক-সাইফ মিজান স্মৃতি সভাকক্ষে পিরোজপুর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী।
পরে বিকেলে পিরোজপুর সড়ক বিভাগাধীন পিরোজপুর খেয়াঘাট-হুলারহাট জেলা মহাসড়কের বক্স কালভার্ট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন এবং জেলা হাসপাতাল, পিরোজপুর-এর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি।