মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হবে, সীমান্ত হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত।
কানেক্টভিটিতে আমাদের কী লাভ হচ্ছে, এটা জনগণের কাছে স্পষ্ট করা হোক। এতো বন্ধুত্ব কিন্তু সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে পারে না।
মৌলিক সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এখন প্রত্যাশা করি বাংলাদেশ সরকার দেশের মানুষের দাবি ও অধিকার অনুযায়ী সব সমস্যার সমাধান করবে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর হলি ফ্যামেলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা বছরজুড়ে কর্মসূচি নিয়েছি। সেই কর্মসূচি আমরা পালন করছি।
গত ১৭ মার্চ থেকে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও বিদেশি মেহমানদের আসার কথা বলে আমাদের কর্মসূচিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিবেশী তিনটি দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এসে গেছেন।
২৬ মার্চ আমাদের বন্ধুদেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসবেন। আমরা সব সময় বলে আসছি, দেশি-বিদেশি বন্ধুদের আমরা সব সময় স্বাগত জানাই। দুর্ভাগ্য হচ্ছে যে, এই সরকার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে জনগণকে বাদ দিয়ে। জনগণ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানগুলো যা হচ্ছে তাতে মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণ নেই। এমনকী রাজনৈতিক দলগুলোরও অবস্থান নেই। বিদেশি মেহমানদের নিয়ে এসে এখানে দেখানো হচ্ছে, বলানো হচ্ছে- দেশে উন্নয়নের লহরি বয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। মানুষের অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। যে পরিস্থিতিতে সরকার দেশ পরিচালনা করছে, তা কোনোক্রমেই গণতান্ত্রিক বলা যায় না।
এমনকী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে এই বিষয়গুলো আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। আমরা চাই দেশে শান্তি থাকুক। আমরা চাই দেশে বিদেশিরা আসুক। অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন হোক।
উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার ও শায়রুল কবির খান।