নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি নেতা কর্মীরা ১০-১২ জনের হোটাসএপ মিটিং এর মাধ্যমে এই দায়িত্ব বন্টন হয় বলে জানান তারা।
কাজী মনসুর আলম নামে ‘যুবদলের’ একজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার মোবাইল ঘেঁটে এই তথ্য পাওয়ার কথা জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ট্রেনে আগুনের পরিকল্পনার ওই কনফারেন্সে ১০ থেকে ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। তখন আলোচনা হয় ট্রেনে আগুন ও বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নাশকতার বিষয়টি। এমন একটি ট্রেনে আগুন দিতে হবে যাতে বিদেশি মিডিয়া ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে; তখন কে পারবে জানতে চাইলে একজন পারবে বলে জানায়।”
গোয়েন্দা পুলিশ সেই ব্যক্তির নাম পেয়েছে জানিয়ে হারুন বলেন, “কাজী মনসুরসহ দুজন সহযোগীকে সঙ্গে নেয় ওই ব্যক্তি। তাদের পরিকল্পনা ছিল ওই ট্রেনে আগুন দেওয়া।”
এর আগে বিএনপি ও দলটির সঙ্গে যুক্ত আন্দোলনে থাকা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের আগের রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ঠেকাতে ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে রাজধানীর গোপীবাগে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় দুই শিশুসহ চারজন নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত ও দগ্ধ হয়েছে।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে ডিএমপি, রেলওয়ে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা সমন্বিতভাবে আগুন নিয়ন্ত্র্রণ ও উদ্ধারে কাজ করে।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী (৬৬) ছাড়াও যুবদলের সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি লালবাগ ও ওয়ারী বিভাগ। তারা হলেন- কাজী মনসুর আলম, মো. ইকবাল হোসেন স্বপন, মো. রাসেল, দেলোয়ার হাকিম বিপ্লব, মো. সালাউদ্দিন, মো. কবির ও মো. হাসান আহমেদ।
ঘটনার সঙ্গে বিএনপি নেতা নবীর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে এক প্রশ্নে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, “অর্থদাতাসহ আর কোন কোন বিষয়ে জড়িত, তা তদন্তে বের হয়ে আসবে।