বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতরেই মুশতাক আহমেদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল মর্গে মরদেহের জন্য অপেক্ষমাণ লেখক মোস্তাক আহমেদের ভাই ডা. নাফিছুর রহমান জানান, ‘তার মরদেহ আমি নিজে দেখেছি। কোনও সমস্যা আমার চোখে পড়েনি। ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদন ছাড়া আমি এ ব্যাপারে কী বলবো? আমাদের কোনও অভিযোগ নাই। আমরা কোনও মামলাও করবো না।’
মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শাফী মোহাইমেন। তিনি বলেন, ‘দৃশ্যত গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
তিনি গাজীপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। তারা মনে করেন এটি একটি স্বাভাবিক মৃত্যু এবং তিনি অসুস্থ হওয়ার পর যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা।প্রয়োজন ছিলো তার সবই করেছিলো কারা কর্তৃপক্ষ।