৯৯৯ জাতীয় জরুরি সেবা থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার পর ৯৯৯ এ গড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার কল বেড়েছে। জাতীয় জরুরি সেবার কর্মীরাও মানুষকে সাধ্যমত সহযোগিতা করছেন। জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে না গিয়ে অসংখ্য মানুষ পুলিশমুখী হচ্ছে। হাসপাতালে গিয়ে হয়রানির শিকার হবেন—এই আশঙ্কায় অনেকেই পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন।
বেশিরভাগ মানুষ করোনাভাইরাসের উপসর্গ, চিকিৎসা, নিকটস্থ হাসপাতালে কোথায় চিকিৎসা হয়, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, হোম কোয়ারেন্টিনে কতদিন থাকতে হবে এবং নিত্যপণ্য চেয়েছে। জাতীয় জরুরি সেবা এসব বিষয়ে মানুষকে তথ্য সরবরাহ করছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে যেসব পুলিশ সদস্যকে গিয়ে নাগরিকদের সেবা দিতে হবে সেখানে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।
গত ৩১ মার্চ টঙ্গী থেকে এক আইনজীবী ফোন করে ৯৯৯ এ জানান, মোহাম্মদপুরে তার মামী মারা গেছেন, তার শরীরে করোনার সব উপসর্গ ছিল। এ বিষয়ে তারা কোথায় যোগাযোগ করে নমুনা পরীক্ষা করাতে দিতে পারেন সে পরামর্শ চান তিনি। জাতীয় জরুরি সেবা থেকে তখন ওই ব্যক্তিকে মোহাম্মদপুর থানায় সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ আইইডিসিআর থেকে নমুনা সংগ্রাহকদের নিয়ে এসে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করান। যার ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি। তবে পরিবারটি কোয়ারিন্টেনে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।
জাতীয় জরুরি সেবার পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে ৮১ হাজার ৭৫৯টি কল এসেছে। এর মধ্যে করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য নিয়েছেন ৭৬ হাজার ২৪২ জন কলার। ৫ হাজার ৫১৭ জন পুলিশের কাছ থেকে মাঠ পর্যায়ে সেবা নিয়েছেন।