এখতিয়ার গত ক্রুটি থাকায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার বিরুদ্ধে একটি মামলা নেননি আদালত।
মঙ্গলবার নোয়াখালী দ্রুত বিচার আদালতের বিচারিক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব উদ্দিন খাঁনের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হবে। মামলা বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো.হারুনুর রশীদ হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, দুপুরে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলাটি এ আদালতের এখতিয়ার না থাকায় আদালত মামলাটি ফেরত দিয়েছেন।
মামলার বাদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন রুনু। তিনি তাঁর স্বামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনকে মারধরের ঘটনায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন।
অপরদিকে, উপজেলার চাপরাশির হাট বাজারে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মির্জা কাদেরের অনুসারী উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি সালাউদ্দিন পিটন বাদী হয়ে মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলার আবেদন করলে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ মামলার তদন্ত করতে নির্দেশ দেন।
সোমবার দুপুর ৩টার দিকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোছলে উদ্দিন নিজামের আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবীর দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলা শুনানি করার এখতিয়ার না থাকায় মামলাটি ফেরত দেন আদালত।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনের ওপর হামলা ও আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় এজাহার দুটিতে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
কিন্তু থানা পুলিশ সেই এজাহারগুলো মামলা হিসেবে গ্রহণ না করায় ওই দুই বাদী আদালতে মামলার আবেদন করেন।