মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনে নিহত ও আহতদের ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে আবেদনে ওই ঘটনায় কার কি দায়, কার অবহেলা বা কার ভুল তা নিরুপনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার আজ সোমবার এ রিট আবেদন করেছেন।
বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে কাল মঙ্গলবার এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
রিট আবেদনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও এসপিসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে তাদের ভর্তি করা হয়।
এ পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চিকিৎসাধীন দগ্ধ ১০ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এনিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন ৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন।
তিনি নিহত ও আহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বতপ্রণোদিত নির্দেশনা জারির জন্য আবেদন জানান। তবে আদালত স্বতপ্রণোদিত আদেশ না দিয়ে ওই আইনজীবীকে লিখিতভাবে আবেদন (রিট আবেদন) করার পরামর্শ দেন।
অবস্থায় হাইকোর্টের সংশ্লিস্ট শাখায় রিট আবেদন দাখিল করা হয়। এরপর আবেদনটি সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এ সময় আদালত আবেদনটির ওপর মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দারা গ্যাস লাইনের লিকেজের বিষয়টি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। কিন্তু তিতাস গ্যাসের স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করে লাইন মেরামতের জন্য। সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।