সেপ্টেম্বরের শেষে আবার বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
অক্টোবরে একটি বা দুটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসও আছে বলে জানান তিনি।
বন্যা নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হচ্ছে অনেক পদক্ষেপ। ফলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ একটি বন্যা সহনীয় রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে বন্যা পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে জুমে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় তিনি এ তথ্য জানান।
দীর্ঘমেয়াদি বন্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা রিলিফ বেইজ জায়গা থেকে বের হয়ে দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে চেষ্টা করছি।
এজন্য নদী শাসন, নদীভাঙন রোধে নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। করা হয়েছে বেশ কিছু পরিকল্পনা।
৯৮ বন্যার তুলনায় এবার বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম। ওই সময় প্রায় ৪০ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবার ৩৩ জেলা। একইভাবে সে সময় প্রায় ৫০ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়, এবার প্লাবিত হয়েছে ৩০ ভাগ এলাকা। সেই সময় বন্যা স্থায়ী হয়েছিল ৬৯ দিন, এবার ৪৬ দিন।
সুরমা, মাতামুহুরি নদী শাসনের ইতোমধ্যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে পদ্মা, যমুনা নদী শাসনেরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া ডেল্টা প্ল্যানেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বন্যার বিষয়টি। ফলে আমরা অচিরেই একটি ভালো জায়গা যাবো।
আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ একটি বন্যা সহনীয় রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
বর্তমানে আমাদের পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে। প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টনের মতো। ৮ লাখ হলেই আমাদের আর দরকার হয় না। তারপরও আমরা আরও মজুতের চেষ্টা করছি। তিনি জানান, করোনার কথা চিন্তা করে ঈদের আগে আমরা প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ পরিবারকে চাল দিয়েছি। এছাড়া পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, শিশু খাদ্য, ঢেউটিন সরবরাহ করা হয়েছে।