বঙ্গবন্ধু এ দেশের স্বাধীনতা আর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গেছেন। এ জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি এ জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তাঁর সেই স্বপ্নকে থামিয়ে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সেই ভেঙে দেওয়া স্বপ্ন বাস্তবে রূপদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ১৫ আগস্ট এ দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় দিন। যে ব্যক্তিটি আজীবন এ দেশের স্বাধীনতা আর এ দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ করে গেছেন, তাঁকেই আজকের এই দিনে সপরিবারে নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়। এমন কলঙ্কময় ইতিহাস বিশ্বের আর কোথাও নেই।
বঙ্গবন্ধু আমাদের সত্তার সাথে মিশে আছেন। বাংলাদেশের আরেকটি নাম শেখ মুজিবুর রহমান। শুধু এ দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশের নাম একই সাথে উচ্চারিত হয়।
শনিবার শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভায় ভার্চুয়াল কনফারেন্স এর মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই সেই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করতে এখানে কর্মরত সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
জনমুখী জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল কনফারেন্স এর মাধ্যমে যোগদান করেন। এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান।
যত দিন এ দেশ থাকবে, তত দিন বঙ্গবন্ধুকে জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানবতাবাদী নেতা। এ দেশের মানুষকে উন্নত জীবনমান প্রদানের লক্ষ্যে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। প্রতিমন্ত্রী এ সময় সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা অংশগ্রহণ করেন।