শতাব্দীর ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারী করোনায় গত ২৪ ঘন্টায় ১২৫ জনের দেহে নতুন করে মিলেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ হাজার ৩৩৮ জন।
আজ ৩১ জুলাই শুক্রবার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামের ৫টি ল্যাব এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে মোট ৮৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে একজন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৪৬টি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৯০টি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এতে চবি ল্যাবে ২৯ জন, বিআইটিআইডি ল্যাবে ২১ জন এবং চমেক ল্যাবে ৩৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়।
তবে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে এইদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয় নি।
অন্যদিকে, বেসরকারি শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৬২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জন এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় ১২৫ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এইদিন নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৮৮৭টি। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ৮১ জন এবং উপজেলায় ৪৪ জন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৬ জন।
নতুন আক্রান্ত ৪৪ জন বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে শনাক্তদের মধ্যে রাউজানে ৯, ফটিকছড়িতে ১১, হাটহাজারীতে ৫, সীতাকুন্ডে ৩ জন,পটিয়া ১, বোয়ালখালীতে ৩, সন্দ্বীপে ১জন রাঙ্গুনিয়া ৭ও মীরসরাইয়ে ১ জনকরে রয়েছেন।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়েন আরো ৬৬ জন। বাসায় আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ ৯ হাজার ৪৯৭ জন। চট্টগ্রামে করোনায় এখন পর্যন্ত সুস্থতার হার ৬৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬১শতাংশ। চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল।