জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সীতাকুন্ডে এক উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী পন্থী অনলাইন সংগঠন “ক্র্যাক প্লাটুন”। একই দিন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ছিলো।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইদ্রিস, সাবেক সদস্য চট্রগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ। এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন, সভাপতি সোনাইছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, মোহাম্মদ মাহাবুব আলম, সাধারন সম্পাধক সোনাইছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, নুর মোহাম্মদ তারেকী, সাবেক সদস্য সোনাইছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাক প্লাটুনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান ও ক্রাকপ্লাটুন আওয়ামী একটিভিষ্ট ফোরামের যুগ্ম আহব্বায়ক শিরিন আক্তার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী ও যুগ্ন আহব্বায়ক এসএম নুর উদ্দীন, ক্রাকপ্লাটুন অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইদ্রস বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে উজ্জ্বল কালান্তরের সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল তার হাত ধরেই। যা পরবর্তী সময়ে রূপ নেয় মুক্তির আন্দোলনে। বাঙালির কাছে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ নামেই পরিচিত হন। শুধু দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা নন তিনি, চিফ ইন কমাণ্ডার নন, ব্যক্তি পূজার বেদীতে আসীন কোন গুরু নন তিনি। বাঙালির পরম বন্ধু তিনি। শেখ মুজিবুর রহমান। এই নামটিতেই ইতিহাসের দরজা খুলে যায়। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু আমাদের অনুভূতি ও অন্তর আত্মায় মিশে আছেন। শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ। শেখ মুজিব মানেই স্বাধীন বাংলাদেশ। জাতির পিতার প্রতি আমাদের ঋণ, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা অশেষ। শেখ মুজিব মানেই বাংলার মুক্ত আকাশ। শেখ মুজিব মানেই বাঙালির অবিরাম মুক্তির সংগ্রাম।
এসময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে ও দেশ বিরোধী আওয়ামী বিরোধী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে একটা বাহিনী অনলাইনে নিরন্তন ও স্বার্থবিহীন লড়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আওয়ামী চিন্তা চেতনা মনে ধারন করতে শুধুমাত্র উন্নত মানষিকতা ও দৃঢ় সাহসিকতার প্রয়োজন যা ক্র্যাক প্লাটুনের কর্মকান্ডের মাধ্যমে উপলব্ধি করা যায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন বলেন, ক্র্যাক প্লাটুনের যোদ্ধারা ১৯৭১ সালে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করেছিলো। আজকের এই ক্র্যাক প্লাটুনও যেনো তাদেরকেই অনুসরণ করছে। নিজেদের জনসম্মুখে উপস্থাপন না করে অগোচরে দেশের বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার প্রতিহত করছে সেই সাথে করছে প্রতিরোধও। বঙ্গবন্ধুর এমন অনেক তথ্য তারা তুলে ধরছে যা সাধারন মানুষের দৃষ্টিগোচরে ছিলো। এটি একটি অনবদ্য কৃতিত্ব।
এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ মাহাবুব আলম বলেন, ১৭ মার্চ হলো বাংলার স্বাধীন রক্তিম সূর্যের উদয়। বঙ্গবন্ধুই বাঙালির স্বাধীনতার মহানায়ক। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার জন্ম না হলে বিশ্বের মানচিত্রে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না। পাক সার জমিন সাদ বাদের বিরুদ্ধে সোনার বাংলার চেতনা রোপিত করেন বঙ্গবন্ধু। নিরীহ বাঙালিকে, সশস্ত্র যোদ্ধায় পরিণত করলেন। এর মধ্য দিয়েই বাঙালি অর্জন করলো হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার স্বাদ।পাকিস্তানী বন্দি জীবন শেষে দেশ ফিরলেন রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু। দ্বিতীয়বার আনন্দে ভাসলেন বাঙলার মানুষ। এছাড়াও তিনি বলেন ক্র্যাক প্লাটুন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ও এগিয়ে যাবে। দেশের কল্যানে কাজ করা কোনো ক্র্যাক বাহিনীকে কেউই আগেও থামাতে পারেনি সামনেও পারবেনা।