মোঃইয়াসিন,সাভারঃ
দেশের করোনা সংক্রামনের সূচনালগ্ন থেকে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সাংবাদিকগন। নিঃস্বার্থ ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালন করছেন পেশাগত দায়িত্ব। থেমে নেই বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষিত সদস্যরা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের দূর্যোগ মোকাবেলায় যখন সম্মুখ যোদ্ধারা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেখানে অভিযোগ উঠেছে পুলিশ দ্বারা সাংবাদিককে লাঞ্চিত করার ঘটনা।
বুধবার(২০ই মে) সকালে সাভারের আশুলিয়ার শ্রীপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) এর হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক রুবেল আহমেদ। এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই টিভি সাংবাদিক ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযুক্ত আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন-উর-রশিদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকের অভিযোগ, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে হচ্ছে তার মত সাংবাদিকদের। আজ সকালেও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার চালিয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য বাসা থেকে সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।এসময় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার শ্রীপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের অস্থায়ী চেকপোস্টে পৌঁছলে সেখানে থাকা কর্তব্যরত পুলিশের এসআই হারুন-উর-রশিদ তাকে আটকে দেন। পরে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য তাকে যেতে হবে বলে জানালেও ওই পুলিশ সদস্য এতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন।
তিনি আরো বলেন, গালমন্দ করার কারন জানতে চাইলে এসআই হারুন উর-রশিদ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ির দরজা খুলে তার কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করেন ও তাকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করেন। এমনকি তার ব্যক্তিগত গাড়িসহ তাকে আটক করারও হুমকি প্রদান করেন এসআই হারুন। পরে স্থানীয় সহকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে রেহায় পান তিনি।
সাংবাদিককে লাঞ্চিত করার ব্যাপারে অভিযুক্ত আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন-উর-রশিদ জানান, চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করার সময় সব গাড়ি গুলোকেই ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছিল। এসময় ওই সাংবাদিকের গাড়িটিও ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে সাংবাদিককে লাঞ্চিত করার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ওনাকে কোনো প্রকার লাঞ্চিত করা হয়নি, বরং ওনাকে বুঝানো হয়েছে এখন এখানে প্রবেশ করতে কাউকে দেয়া হচ্ছেনা। তার পরেও উনি প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে জোর করে ভিতরে প্রবেশ করতে চেষ্টা করেন নিজের সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে। তখন তাকে বাধা দিয়ে সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়, যা আমাদের কর্তব্যর অংশ। উনি ওনার উদ্দেশ্য সফল না হয়েই পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলছেন।