মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ভাটারা-সাইদ নগরে স্থাপিত অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট পরিদর্শন করেছেন। আজ মঙ্গলবার দেড়টায় পরিদর্শনকালে তিনি পশুর হাট ঘুরে দেখেন এবং পশু ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন। পশু ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়কে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
আপনারা জানেন ডিএনসিসিতে প্রতি বছর দশ-এগারোটা হাট বসে থাকে। এবার কভিড মোকাবেলার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি ঢাকা শহরের বাইরে কিছু জায়গায় হাট বসানোর জন্য। বর্তমানে একটি স্থায়ী হাট গাবতলীতে এবং পাঁচটি অস্থায়ী হাট শহরের বাইরের দিকে খোলামেলা জায়গায় বসানো হয়েছে। এছাড়া হাটে না গিয়ে অনলাইন থেকে কোরবানি পশু কেনা, কোরবানি দেওয়া, মাংস প্রস্তুত করা এমনকি বাসায় মাংস পৌঁছে দেয়ার জন্য ডিজিটাল হাটও বসানো হয়েছে।
বছর মহামারীর মধ্যে কোরবানি। প্রতি বছর কোরবানি পশু কিনতে আমরা হাটে আসি। হাটে আসাটাই উৎসবের একটা অংশ। কিন্তু এবার বিশ্বব্যাপী মহামারি এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি এটি মোকাবেলা করার।
হাট ইজারা দিয়ে ডিএনসিসি গতবার ২১ কোটি টাকা পেয়েছিল, হাট কমানোর কারণে এবার অনেক কম টাকা পেয়েছি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কি না তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিটি হাটে একটি করে মোবাইল কোর্ট দিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবাই যেন মেনে চলে। মহামারির মধ্যেই এবার ঈদ হচ্ছে। বেঁচে থাকলে আরো অনেক কোরবানির ঈদ করতে পারব। কিন্তু এবারে যারা আসবেন মেহেরবানি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। আমরা কেবল সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যে বিধিগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো মেনে চলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।