আবদুর রহমান রাজীব:
পিতা-মাতার ক্ষেত্রে সন্তানের জন্য ভরণ পোষণ আইন কার্যকর করলেন কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার ওসি মুজিবুর রহমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের পংপাচিহা গ্রামের বৃদ্ধা জহুরা বেগম (৯০)। দিনাতিপাত করেন জরাজীর্ণ একটি ছোট্র খুঁড়েঘরে। তাতে রয়েছে একটি ভাঙ্গা চৌকি ও সামান্য কিছু আসবাবপত্র। দুই ছেলে সালাম (৬০) এবং হাশেম (৫৭) তাদের মায়ের কোনো খোঁজ-খবর নিচ্ছেন না অনেক দিন যাবত।
ঘটনাচক্রে ওই খবরটা তাড়াইল থানায় পৌঁছে। ওসি মুজিবুর রহমান সালাম এবং হাশেমকে থানায় আসতে বলেন। ওসি তাদের মুখ থেকে বিস্তারিত শুনেন এবং তারা তাদের ব্যার্থতা, অন্যায়-অপরাধ এবং বেয়াদবীর কথা স্বীকার করেন। বৃদ্ধা মায়ের সার্বিক দেখাশুনায় আর কোনো ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি হবে না বলে মুচলেকা দেন। ওসির কথা অনুযায়ী দুই ছেলে তাদের মায়ের নুতুন ঘর নির্মানের জন্য টিনসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয় করেন।
তাড়াইল থানার ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, আমি ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে থানার ষ্টাপসহ পংপাচিহা গ্রামে যাই এবং জনগণের সামনে পিতা-মাতার ক্ষেত্রে সন্তানের জন্য ভরণ-পোষণ আইনের বিষয়টি সকলকে অবহিত করি। তিনি উপস্থিত লোকদেরকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, এ ধরণের ঘটনা যদি সমাজে ঘটে তাহলে যেন তাৎক্ষণিক থানায় খবর দেয়। পরে সালাম ও হাশেমকে তাদের মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে বলি।