এবার জ্বর, সর্দি কাশি ও ঠাণ্ডা জনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন লকডাউন ঘোষিত জেলা নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম এবং সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ। তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুর থেকেই তারা অসুস্থ জানিয়েছিলেন একাধিক সংবাদমাধ্যম ।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল গণমাধ্যমে তাদের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান এবং সাময়িকভাবে যে কোনো তথ্যের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক নিজেই।
এছাড়াও জেলা করোনা সংক্রান্ত ফোকাল পার্সন ও সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম রয়েছেন আইসোলেশনে। তিনি বাড়িতেই এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর মধ্যে জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে বলেও মঙ্গলবার রাতে খবর প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন এবং এই কমিটির সদস্য সচিব জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ চলমান পরিস্থিতিতে জেলার সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এছাড়া আছেন জেলা করোনা সংক্রান্ত ফোকাল পার্সন ও সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম। অন্যদিকে জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অধিকর্তা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।
ওই চারজনের কেউই বুধবার অফিস করেননি। পরে যানা যায়, তারা চারজনই বাড়িতে রয়েছেন। জ্বর সর্দিসহ করোনার উপসর্গ থাকায় তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। আর একজন আছেন আইসোলেশনে। ডিসির নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে বুধবার তিনি তার বাংলোয় বিশ্রামে চলে যান। সেখান থেকেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন দুপুরে তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায়।
এদিকে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজও বুধবার থেকে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। জেলা করোনা ফোকাল পার্সন ডা. জাহিদুল ইসলাম করোনা সন্দেহে বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
এতদিন মুঠোফোনে তারা বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য দিলেও আজ বুধবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসকের মুঠোফোন রিসিভ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা।
এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমও অফিসে আসেননি। তার কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।