বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আন্তর্জাতিক ম্যারাথন, সাইক্লিং, নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ও ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার সিটি করর্পোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের তৃতীয় সভায় এ কথা জানান। নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস কমিটির সভাপতি হিসেবে কর্পোরেশনের সাধারণ আসনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদের নাম প্রস্তাব করলে উপস্থিত সকলে করতালির মাধ্যমে তা একযোগে সম্মতি জানান।
এ সময় মেয়র কমিটির সদস্য হিসেবে একে একে সাধারণ আসনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাহবুবুল আলম, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফী, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মীর হোসেন মীরু এবং সংরক্ষিত আসনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (সাধারণ ওয়ার্ড নম্বর ১৬, ১৭, ২১) নারগীস মাহতাব, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের (সাধারণ ওয়ার্ড নম্বর ১৩, ১৯, ২০) রোকসানা ইসলাম চামেলী, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের (সাধারণ ওয়ার্ড নম্বর ৬৭, ৬৮, ৬৯) মাহাফুজা আক্তারের নাম প্রস্তাব করলে উপস্থিত সকলে একযোগে তা অনুমোদন করেন।
নবগঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটিকে বিজয় দিবস ২০২০ উপলক্ষে ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন প্রতিযোগিতা, সাইক্লিং প্রতিযোগিতা, নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ও ঘুড়ি উৎসব আয়োজনের প্রাথমিক দায়িত্ব অর্পণ করেন।
এ সময় ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, নতুন স্ট্যান্ডিং কমিটির ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনারা যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হবেন বলে আমি আশাবাদী। বোস্টন ম্যারাথনে বললে বিশ্ববাসী যেমন বোস্টন শহরকে কল্পনায় ফুটিয়ে তোলেন তেমনি মুজিববর্ষে আপনারা ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন প্রতিযোগিতা, সাইক্লিং প্রতিযোগিতা, নৌকা বাইচ ও ঘুড়ি উৎসবের সফল আয়োজনের মাধ্যমে ঢাকা শহর ও ঢাকাবাসীকে বিশ্ব পরিমন্ডলে পৌঁছে দেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
বোর্ডসভার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী এই সময় কাউন্সিলররা আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও তা উত্তরণে তাদের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমান উল্লাহ নুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, জি এম ট্রান্সপোর্ট বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।