মিরপুর-৬ নম্বর প্রধান সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে বাসাবাড়ির বর্জ্য। এসব আবর্জনার দুর্গন্ধে নাকে কাপড় চাপতে হচ্ছে পথচারীদের। তবে এই এলাকায় মশা নিধন কর্মসূচিতে গিয়ে এ দৃশ্য চোখে পড়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের।
তিনি সময়ক্ষেপণ না করে সেই ময়লা ফেরত পাঠালেন সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবনে। কারণ সেখান থেকেই এই ময়লা রাস্তায় ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও এসব ময়লা তাদের নয় বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবনের তত্বাবধায়ক সামছুল আলম।
সোমবার কিউলেক্স মশা নিধনে নতুন ওষুধের ক্রাশ কর্মসূচি শুরু করেছে ডিএনসিসি। ১৪শত কর্মী নিয়ে অঞ্চল-২ এর আটটি ওয়ার্ডে দিনভর চালানো চলে এই অভিযান। ওষুধের কার্যকারিকতা যাচাইয়ে কাজ করেছে ২০০ জনের একটি তদারকি দল। অভিযান পরিদর্শনে গিয়ে দ্রুতই মশার উপদ্রব কমে আসবে বলে নগরবাসীকে আশ্বাস দেন মেয়র আতিকুল।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে ইতিপূর্বে সকালে মশার লার্ভিসাইড এবং বিকেলে এডাল্টিসাইড দেওয়া হতো। কিন্তু আমরা কীটতত্ত¡বিদদের সাথে কথা বলেছি। তাঁদের নির্দেশনা অনুযায়ী টোটাল সিস্টেমটাকে আমরা এই প্রথমবারের মতো পরিবর্তন করলাম।
এটি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমরা এখন প্রতিদিন দশটি অঞ্চল নয় বরং এখন অঞ্চলভিত্তিক মশক নিধন করব। আজকে এসেছি অঞ্চল-২ এ। এখানে মাঠ পর্যায়ে আমরা মশার প্রজননস্থলের সর্বত্র ‘টোটাল সুইপিং’ করতে চাই।
এসময় রাস্তায় ময়লা ফেলার বিষয়ে মেয়র আতিকুল বলেন, যারাই রাস্তায় ময়লা ফেলে দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে, উত্তর সিটি সেই ময়লা তাদের বাড়িতে ফেলে আসবে। রাস্তায় ময়লা ফেলে কেউ দুর্ভোগ সৃষ্টি করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন একটি অঞ্চলের সব ওয়ার্ডে মশক নিধনের পরিকল্পনা রয়েছে ঢাকা উত্তরের। শুক্রবার ব্যাতীত আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। মঙ্গলবার অভিযান চালানো হবে অঞ্চল-৪ এ।
মশক নিধন কার্যক্রম তদারকির জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক বে-নজীর আহমেদের নেতৃত্বে একটি তদারকি দল কাজ করছে। যারা প্রতিবেদনের ফলাফল জমা দেবে মেয়রের কাছে। এদিকে, মিরপুর-৬ এলাকার মিল্কভিটার কারখানার মধ্যে জন্মাচ্ছে প্রচুর মশা।
পরিবেশ খারাপ থাকায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এ সময় মশার লার্ভা পাওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।