মোঃইয়াসিন,সাভার: ঢাকার সাভার সদর ইউনিয়নে করোনা আক্রান্ত এক যুবক পালিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
তার পিছু নিতে নিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা । এ ঘটনায় বিব্রত তার পরিবারের সদস্য সহ এলাকাবাসী।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যুবকের কারণে হয়রানির শিকার এখন গোটা এলাকা। তারপর এলাকাটি লকডাউন করা হলেও এখন যুবকের কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে তার পরিবারের সদস্যরা পড়েছে বেকায়দায়।
কারোনার নমুনা পরিক্ষায় পজেটিভের খবর প্রচার হতে না হতেই গা ঢাকা দিয়েছে ওই যুবক। তারপর থেকেই বেড়েছে প্রশাসনের ব্যস্ততা। হন্যে হয়ে প্রশাসন তার পিছু পিছু ছুটেও নাগাল পায়নি তার।
ওই যুবকের দেয়া মোবাইল নাম্বার ট্র্যাক করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে তিনি অবস্থান করছিলেন ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া এলাকায়।
তার কললিস্ট ঘেঁটে দেখা গেছে, জনবহুল এলাকাগুলোতে বিচরণ করায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা প্রশাসন সহ এলাকাবাসীর। হয়তো সেই সঙ্গে জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে অনেককেই সংক্রমিত করে চলেছেন করোনাভাইরাসে। শেষ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ওই রোগীর নাম ঠিকানা প্রকাশ করে তাকে ধরিয়ে দেবার আহ্বান জানিয়েছে।
সাভার উপজেলার সদর ইউনিয়ন এর চাপাইন মহল্লার সেলিম হোসেন (৩২) নামের ওই যুবক ঠিকানায় প্রযত্নের ঘরে লিখেছেন রিয়াজউদ্দিন। রিপোর্ট পজিটিভ আসার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই বাড়িটি খুঁজে বের করে লক ডাউন করলেও লাপাত্তা ওই যুবক।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা জানান, এটা আমাদের সঙ্গে রীতিমতো প্রতারণা।এখন থেকে আমরা নমুনা প্রদানকারীর নম্বরের সঙ্গে তার স্বজনদের নম্বর অন্তর্ভুক্ত করবো এবং সে নম্বরটি সঠিক কিনা তা চেক করে তারপরে নমুনা পাঠাবো।
এভাবে একজন লোক পালিয়ে বেড়াচ্ছে না শত শত লোককে সংক্রমিত করে যাচ্ছেন এটা কল্পনা করতে গা শিউরে ওঠে-যোগ করেন ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, সাভারে যে বাসার ঠিকানা দেয়া হয়েছে, সেটিও সঠিক নয়। বিভিন্ন সময় তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও, সে ভুল অবস্থান ও ঠিকানা বলছে। আমরা তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। প্রযুক্তির সহায়তায় দেখা যাচ্ছে আক্রান্ত যুবক কিছুক্ষণ পরপর তার স্থান পরিবর্তন করছে। আমরা জানতে পেরেছি, সর্বশেষ তারা অবস্থান ছিল ধামরাইয়ের গাংগুটিয়ায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সাভার ও ধামরাইয়ের পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকেরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই যুবককে খুঁজে পায়নি।