“ভূমিদ’স্যু ও মাদ’ক ব্যবসায়ীর বি’রুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে শেষ পর্যন্ত ওরা আমার স্বামী খুলনার কন্ঠের সম্পাদক- শেখ রানা কে মা’দক মা’মলায় ফাঁ’সানো হলো। ইতিপূর্বে ওরা আমার স্বামী সহ আমাকেও তথ্যপ্রযুক্তি মাম’লায় আ’সামি করেছিল” বলে অ’ভিযোগ করেন সাংবাদিক ইশরাত ইভা।
সাংবাদিক ইভা জানায়, গতকাল জেলগেটে টিকিট কেটেও কথা বলতে দেয়নি রি’মান্ড চাইবে বলে। এক পুলিশের মাধ্যমে খবর নিয়েছে রানা। তার কাছে বলছে আমাকে ফাঁ’সিয়েছে। মা’মলার এক আ’সামি তথ্যপ্রযুক্তি মাম’লার বা’দির বাসার ভাড়াটিয়া। তার মাধ্যমে পুলিশকে ম্যানেজ করে পুরো নাটকটি সাজানো হয়েছে বলে দাবি ইভার।
ইভা জানতে পেরেছেন, ঘটনার রাতে রানা বাসার পথেই আসছিলো। পথিমধ্যে একটি প্রাইভেট কার তাকে উঠিয়ে নেয়। উঠিয়ে নিয়ে প্রথমে বেনাপোল যায়। চেয়েছিলো ভারত ঢুকবে কিন্তু বিজিবির কারনে যেতে পারেনি। এরপর আসে যশোর। ওখানে থাকাকালীন ফোন অন ছিলো আমি বারবার ফোন দেয়ায় ওখান থেকে ওরা নোয়াপাড়া আসে তখন সময় রাত ৯টা।
এরপর আর তার আর কিছু মনে নেই৷ পুলিশ তার মাথায় ও শরীরে আ’ঘাত করে। ছবি তোলে আর বলতে থাকে মা’দক ব্যবসায়ী শেখ রানা আ’টক। সাথের দুজনের একজন রানাকে চিনতো। উনি ঐদিন ঐ গাড়িতে ছিলো এবং গত পরশু সকালে উনি ফোন দিয়েছিলো রানাকে। হায় হ্যালো কথা বলতেও দিয়েছিলো। কি কথা হয়েছিল রেকর্ড রয়েছে। একমাত্র শিশুপুত্র ইফতিকে নিয়ে চ’রম নিরা’পত্তাহী’নতায় আছি বলে জানান ইভা। ইভা বলেছে মোবাই কল রেকর্ড বের করলে সব জানা যাবে। রানার শরীরের অবস্থা খুবই খা’রাপ। বারবার বলছে বাঁচব না৷ আর আমার কিছু বলার নেই।
ঘটনার দিন রানা তার সন্তানের জন্য ঔষধ নিতে ফার্মেসিতে যায়। এবং ফার্মেসি থেকে তার দ্রুত ফেরার কথা ছিলো। বাচ্চার ঔষধ নিতে গিয়ে মাদ’ক সহ এতো দূর যাওয়া কিভাবে সম্ভব এই প্রশ্ন তোলেন রানার বন্ধু ও সহকর্মীরা। উল্লেখ্য, পূর্বে একটি প্রতিবেদন নিয়ে রানা ও ইভার বি’রুদ্ধে মা’মলা করা হয়। ওই মাম’লার সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযো’গ প্রমানিত না হওয়ায় আদাল’ত বা’দীকে আবারো যথাযথ অভি’যোগ স্পষ্ট করার জন্য সময় বেধে দেয়। রানার সহকর্মীরা জানায় “এটা অনেকটা সহজে বুঝা যায় রানাকে কেন গ্রেফ’তার করা হলো, আর আমরা ব্যক্তিগতভাবে তাকে চিনি, সামাজিকভাবে সবাই তাকে জানে। হঠাৎ করে একজন মানুষ এতো পরিবর্তন হয়ে এমন পথে যেতে পারেনা। অবশ্যই পূর্ব কোনো অভি’যোগ বা স’ন্দেহ থাকতে হবে। রানার এলাকায় এসে খোজ নিলেই তার সম্পর্কে ও তার সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে ক্লিয়ার হওয়া যাবে সহজে। এটা আমরা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি, উদ্দেশ্যপ্রণো’দিত ও হ’য়রানি করার উদ্দেশ্য করা মাম’লা।
এদিকে ঘটনায় রোববার বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্তের দা’বি করে বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, এভাবে পু’লিশ কর্তৃক একজন সাংবাদিককে হ’য়রাণীর কোন অর্থ আমরা বুঝে ওঠতে পারছিনা। সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি ক্ষু’ন্ন করতে একশ্রেনীর পু’লিশ সাংবাদিকদের মানসম্মান ন’ষ্টে ম’রিয়া। এই অবস্থা চলতে থাকলে সাংবাদিক-পু’লিশ দুই মেরুতে পরিনত হব।
ঘটনার সম্পৃক্তা যাচাইয়ের জন্য সাংবাদিক শেখ রানাসহ অপর আসা’মিদের ফোন কল রেকর্ড তদন্তের দা’বি জানায় বিএমএসএফ। পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিকরা হাম’লা-মা’মলার শি’কার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এসকল অ’পশক্তির বি’রুদ্ধে সকল গণমাধ্যমকর্মীকে সজাগ ও স্বোচ্চার থাকারও আহবান জানায় বিএমএসএফ।
অন্যদিকে মা’মলার বা’দী খুলনা জেলা ডিবির ইনচার্জ পু’লিশ পরিদর্শক তোফায়েল আহম্মেদ জানান, খুলনার কণ্ঠের সম্পাদক শেখ রানাকে একটি প্রাইভেট গাড়ির ভিতরে পাওয়া গিয়েছে। গাড়িতে দুটি কালো ব্যাগে ১০০ বোতল ফে’নসি’ডিল পাওয়া যায়। গাড়িতে থাকা সবাই এই মাদ’কের সাথেই জড়িত বলে আমাদের ধারনা। শেখ সোহেল ১নং আ’সামি, শেখ রানা ২নং এবং ৩নং আ’সামি গাড়ির ড্রাইভার। যথেষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফ’তার করা হয় বলে জানান ডিবির ইনচার্জ।