মাগুরা প্রতিনিধিঃ শালিখায় নাঘোষা গ্রামে সামাজিক দলাদলী ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় খলিলুর রহমান (৫০) নামে এক আওয়ামীলীগ কর্মীর পা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সোমবার সকালে শালিখা উপজেলার নাঘোষা গ্রামে এ হামলায় আহত হয়েছে আরো অন্তত পাঁচজন।
এ সময় একাধিক বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শালিখা থানার ওসি তরীকুল ইসলাম জানান, সামাজিক দলাদলি থেকে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকাটি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান নাঘোষা গ্রামের বাসিন্দারা দুইটি সামাজিক দলে বিভক্ত। একপক্ষের নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ বারিক বিশ্বাস ও অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড.শামছুর রহমান। সম্প্রতি বারিক বিশ্বাস সমর্থিত কয়েক’জন দল ভেঙ্গে এ্যাড.শামছুর রহমানের সমর্থকদের পক্ষে যোগ দেয়। যা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার এক পর্যায়ে আজ সোমবার সকালে আকরাম, আলমের নেতৃত্বে এ্যাড.শামছুর রহমানের সমর্থক বারিক বিশ্বাসের ভাই খলিলুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় তারা আ’লীগ কর্মী খলিলুর রহমানের বাম পা ধরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং আরো ৪-৫ জনকে কুপিয়ে আহত করে। হামলাকারীরা ২-৩ টি বাড়িঘরও ভাংচুর করে। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে। পুলিশ খলিলুর রহমানসহ আহতদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক রেজাউল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে খলিলুর রহমানের পায়ে অস্ত্রপচার করা হয়েছে। তবে বাম পায়ের গোটা রগ কেটে পা’টি চামড়ায় বেধে থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানোর হয়েছে।