যাইহোক বেশ কয়েকদিন যাবত অনেকের সাথে যুক্তি তর্ক হয়েছে। শিক্ষিত, অশিক্ষিত শ্রেনীর বিশাল একটি অংশ এখনো বিশ্বাস করেন না যে ছোয়াছে রোগ বলে কিছু আছে। এদের এই যুক্তির পেছনে দায়ী ইউটিউবের কল্যাণে খ্যাতনামা অনেক ইসলামী বক্তা।
জাতির ক্রান্তিলগ্নে আসুন একটি উপায় বের করি। সারা দেশে একটি গণভোট হোক। এই গণভোট নিবেন এই সকল বিশিষ্ট ইসলামী বক্তাগন এবং সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হজারো পীর সাহেব এবং মাজারের খাদেমগন।
এখনে ভোট হবে এমন ভাবে যে যারা বিশ্বাস করেন যে ছোয়াচে রোগ নেই তারা ভোট কেন্দ্রে আসবেন। এবং ভোট দিয়ে বিশেষ উপহারস্বরুপ ৫ অথবা ১০ হাজার টাকা নিবেন।
আর যারা বিশ্বাস করেন যে ছোয়াচে রোগ আছে তারা ঘরে বসে থাকবেন। ভোট কেন্দ্রে আসার দরকার নাই।
এর মাধ্যমে দেশে দুটি শ্রেনীকে আলাদা করা যাবে। এক শ্রেনী হল ছোয়াচে বলে কিছু নাই বলে বিশ্বাস করেন। আরেকদল হল লোভী।
এরপর যারা ভোট দিতে আসবেন এদের সবাইকে চিহ্নিত করে বাধ্যতামূলক মূলক ভাবে করোনা রুগিদের সেবাই নিয়জিত করুন। কোন পিপিই, গ্লাভস, বা মাস্ক এদের দিবেন না। যেহেতু ছোয়াচে রুগি নাই তাই ইনাদের কিছুই হবেনা ইনশাল্লাহ। আর অবশ্যই হায়াত ময়ুত আল্লাহর হাতে। তাই মানুষের তৈরি কোন ঔষধ বা চিকিৎসা ইনাদেরকে দিতে হবেনা। বা দেওয়া যাবে না। আর এই ভোট যারা দিবেন তাদেরকে চিহ্নিত করে নাম প্রকাশ করে তাদের থেকে দূরে থাকার জন্য জাতীয় ঘোষনা দিতে হবে। এতে করে দেশের জন্য প্রকৃত হুমকি মানুষ গুলিকে চিহ্নিত করা যাবে। আর এদের থেলে দূরে থাকলেই নিরাপদ।
এতে লাভ হচ্ছে দেশের একটা বিপুল পরিমান জনগোষ্ঠীর ইমানী পরীক্ষা হয়ে যাবে (তাদের ভাষায়)। যারা ভোট দিবেন তারাও পূন্যের কাজ করবে করোনা রুগিকে সাহায্য করে। ডাক্তার, নার্সদের উপর দায়িত্ব একটু কমবে। আর দেশের ঔষধ, পিপিই কোন ভন্ডকে দিয়ে নষ্ট করা হবেনা। এতে যারা সুস্থ মস্তিস্কের তাদের পেছনে ব্যয় করা যাবে।
দেশে প্রচুর ইসলামী বক্তা আর কোটি কোটি ভক্তকুল রয়েছেন। সারাজীবন তাদের অর্জন হল বয়ান করে টাকা কামানো। তাদের জন্য এখন সুযোগ সমাজে অন্তত কিছু ভাল কাজ করার। করোনা রুগিদের পাশে দাড়াবার। আর অন্যদিকে দেশের হাজার হাজার পীর সাহেবগন সারাবছর ক্যান্সার, এইডস থেকে শুরু করে লক্ষ কোটি মানুষকে ঝাড়ফুক দিয়ে সুস্থ করে দিচ্ছে। তাদেরকে নিয়জিত করতে হবে করোনা রুগিদের মাথায় হাত দিয়ে কপালে ফু দিয়ে দেয়ার কাজে। এরকম ট্যলেন্ট রা এতদিন জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখতে পারেন নি। এখন তাদের জন্য ও সুযোগ।
লেখকঃ ওয়াসিম শাহিন