চীনকে বড় হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ড ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীন ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে, এমন প্রমাণ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আমেরিকা। এবার শি জিনপিংকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীন মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন সত্য সামনে এলে দেখা যাবে মৃতের সংখ্যায় আমেরিকা এক নম্বরে নয়।
শনিবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, চীনের ভুলের জন্য এখন গোটা পৃথিবীকে ভুগতে হচ্ছে। ওরা চাইলেই করোনাভাইরাস ছড়ানো থেকে আটকাতে পারত। বিশ্বজোড়া করোনা মহামারী নিয়ে চীন আর আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন আগেই শুরু হয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক মহলেও এই অভিযোগে দরবার করেছেন তিনি। চীনের পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন। এবারে ট্রাম্পের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃত যে কারণেই হোক, চিনের ভুলেই গোটা বিশ্ব বিপদে। তিনি বলছেন, “তদন্ত চলছে। প্রকৃত সত্য আমরা বের করে আনবই। যেখান থেকেই এই ভাইরাস তৈরি করা হোক বা আসুক, চীন থেকে এটা যে ভাবেই ছড়াক না কেন ১৮৪টা দেশ এর জন্য এখন ভুগছে।” এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ওরা যদি জেনেবুঝে এটা করে থাকে তাহলে ওদের শাস্তি পেতেই হবে। আর যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেটা ভুলই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন বলছে, ওরা নাকি তদন্ত করছে। আমরাও আমাদের মতো তদন্ত করছি। ইচ্ছা করে এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকলে চীনকে শাস্তি পেতেই হবে। একইসঙ্গে উহানের একটি গবেষণাগারকে যে ৩০ লক্ষ ৭০ হাজার ডলার আর্থিক অনুদান আমেরিকা দিত, তা শীঘ্রই দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
নোভেল করোনাভাইরাস চিনের উহানের গবেষণাগার থেকে কোথায় কারা নিয়ে গিয়েছিল, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকা। জানা গিয়েছে, ওই গবেষণাগার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। ট্রাম্পের বক্তব্য, এটা ভুল না ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে এটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই দুইয়ের মধ্যে অনেক ফারাক আছে।
চীন যে তথ্য দিয়েছে তাও ভুল বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। চীন বলেছে সে দেশে প্রতি ১ লাখ আক্রান্ত মানুষে মৃত ০.৩৩ জন। ট্রাম্পের বক্তব্য, এটা একেবারে ভুল পরিসংখ্যান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১ লাখ আক্রান্তের মধ্যে মৃত ১১.২৪ জন। অন্যদিকে ফ্রান্স ও স্পেনে এই সংখ্যাটা যথাক্রমে ২৭.৯২ এবং ৪২.৮১। মৃতের সংখ্যা যে চীন ভুল গুনে কম বলেছিল সেকথা ইতিমধ্যেই স্বীকারও করেছে বেজিং।