শতাব্দীর ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপে। সম্প্রতি বিশ্বের কোভিড পরিসংখ্যান থেকে দেখা গিয়েছে, সারা বিশ্বে কোভিড সংক্রমণে মোট মৃত্যুর ৮৫ শতাংশই হয়েছে ইউরোপে। বিশ্বে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৪২ লাখ ৫৬ হাজার ৯০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৬ জনের। আর কোভিড সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৫৮৩ জন।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ৪২ লাখ ৫৬ হাজার ৯০ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ২৪ লাখ ৪১ হাজার ১৭১ জন চিকিৎসাধীন এবং ৪৬ হাজার ৯৩৯ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৫৮৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং দুই লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৬ জন রোগী মারা গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এদিকে করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টায় আরো ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৩৯ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো এক হাজার ৩৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৫ হাজার ৬৯১ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পরে গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। বর্তমানে দেশে ১৫ হাজার ৬৯১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।