সাগরে পড়ে যাওয়া কন্টেইনার থেকে ভেসে আসা মাস্ক, এয়ারকন্ডিশনিং ডাক্টসহ বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হচ্ছে সিডনির সৈকতে। বিপর্যয় এড়াতে ইতোমধ্যেই সৈকতগুলো বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অস্ট্রেলিয়ান টিভি নেটওয়ার্ক এবিসি জানিয়েছে, ক্লোভেলি, কুগি ও মারুবো সৈকত বন্ধ ঘোষণা করেছে র্যান্ডউইক সিটি কাউন্সিল।
সৈকতগুলো পরিষ্কারে ইতোমধ্যেই বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। সাগরে ভেসে আসা প্লাস্টিক বর্জ্য উপচে পড়ছে মালাবার সৈকতে। এ ছাড়া বন্ডি, লং বে ও ম্যাগনেটা সৈকতেও ভেসে আসছে সেগুলো। জানা যায়, স্থানীয় সময় রোববার সকালে চীনের নিংবো থেকে মেলবোর্ন যাওয়ার পথে সিডনির ৭৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব সামুদ্রিক এলাকায় ঝড়ের মুখে পড়ে এপি এল ইংল্যান্ড নামে একটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ।
এ সময় সেটি থেকে অন্তত ৪০টি কন্টেইনার ছিটকে সাগরে পড়ে যায়। কন্টেইনারগুলোতে বিমানের সিট, গৃহস্থালী ও নির্মাণ সামগ্রীর পাশাপাশি মাস্কসহ বিপুল পরিমাণ মেডিকেল পণ্য ছিল।
র্যান্ডউইক কাউন্সিল এলাকার রেঞ্জার্সসহ স্থানীয়রা সারাদিন সৈকত পরিষ্কারে কাজ করছেন। তবে এসব আবর্জনা আরও কয়েকদিন ধরে ভেসে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাগরের স্রোতের টানে এখনও বড় বড় জিনিসপত্র ভেসে আসছে। ফলে সেগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কায় সার্ফার ও সাঁতারুদের সৈকতের পানিতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব জিনিসপত্র পচনশীল না হওয়ায় সেগুলো সামুদ্রিক পরিবেশের ওপর মারাত্মক হুমকি তৈরি করেছে। এগুলো দীর্ঘদিন ধরে সৈকতে জমা থাকতে পারে। এদিকে, সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজটি বুধবার ব্রিসবেনে নোঙ্গর করেছে।
এতে থাকা কন্টেইনারগুলো ভালোমতো বাঁধা হয়েছিল কি না এবং কোনও ধরনের পরিবেশবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে কি না তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথোরিটি।