চীনের পার্লামেন্টে আজ বৃহস্পতিবার হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারির পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়েছে।
দ্য ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) ২ হাজার ৮০০ সদস্য এই আইনের খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এই আইন কার্যকর হলে হংকংয়ে স্বাধীনতার অঙ্গীকার বলে কিছু থাকবে না।
জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তর, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে—এমন কিছুতে শাস্তিপ্রয়োগের কথা বলা হয়েছে।
এই আইনের পরিকল্পনা অনুমোদনের আগেই হংকংকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে হংকংয়ের বাণিজ্যিক সুবিধা বাধাগ্রস্ত হলো।ওয়াশিংটন অভিযোগ করেছে, চীন হংকংকে স্বায়ত্তশাসনের কোনোরকম সুবিধা দিচ্ছে না।বিশেষ নিরাপত্তা আইনের প্রতিবাদে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভ চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, বিবেচক কোনো ব্যক্তি বলতে পারবেন না চীন হংকংয়ে স্বায়ত্তশাসন বজায় রেখেছে। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ফলে হংকং বাণিজ্যিক সুবিধা হারাবে। হংকং কম শুল্কে বাণিজ্যিক সুবিধা পেত।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডেভিড স্টিলওয়েল বলেছেন, কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই ঠিক করবেন। আচরণ বদলালে পদক্ষেপ পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হংকংবাসীর মনে আঘাত দিতে চায় না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, হংকংয়ে চীনের আচরণের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে অবস্থান নিতে হবে।
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী কর্মীরা বলছেন, এই আইন তাদের স্বাধীনতাকে নষ্ট করবে। বেইজিংয়ের আইন প্রণেতা হোল্ডেন চো বলেন, এই আইন হংকংয়ের বাণিজ্যিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।