লাদাখে বেশ কিছুদিন ধরেই চিনা সেনার আনাগোনা। বলা ভালো ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল চিনের সৈন্য সামন্ত। সঙ্গে ছিল অস্ত্র। কয়েক দফা কূটনৈতিক ও সামরিক বৈঠকের পর অবশেষে পিছু হটেছে চিন। কয়েকটা পয়েন্টে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও পুরোপুরি সংঘাত। তবে শুধু লাদাখ নয়, পুরো ‘লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল’ ধরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করল ভারতীয় সেনা।
ইন্ডিয়া টুডে-তে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি, সরকারি সূত্র বলছে, ‘চিন লাদাখে যা করেছে, তাতে আর কোনোভাবেই তাদের বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। তাই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। শুধু লাদাখ নয়, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশেও বাহিনী মোতায়েন করেছে ভারত।’
হিমাচল প্রদেশে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে চিন সীমান্ত জুড়ে। ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন লেফট্যানেন্ট এনারেল আরপি সিং। উত্তরাখণ্ডেও একই ছবি। সব সীমান্তেই চলছে কড়া নজরদারি। পিথোরাগড়ের কাছে গাড়োয়াল ও কুমায়ুন সেক্টরে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডে একটা অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডও কার্যকর করে রেখেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বারাহোতিতে ভারত-চিন সীমান্তের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে চিনা চপার। গাড়োয়াল সেক্টর থেকে মাত্র ০ কিলোমিটার দূরেই চিন মিলিটারি বেস তৈরি করেছে। সিকিমেও সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়েছে।
অরুণাচল প্রদেশেও প্রস্তত আছে মাউন্টেন স্ট্রাইক কর্পস। যে কোনও ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি আছে বাহিনী।
গত মঙ্গলবার থেকে সীমান্ত থেকে চিন সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। সত্যিই কি সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়েছে চিন? এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। এরপর ভারত জানতে পারে যে, এতদিন ধরে যা ভাবা হচ্ছিল, তার তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক সেনা পূর্ব লাদাখের সীমান্তে মোতায়েন করেছে বেজিং।
ভারত চায়, ভারত চিন সীমান্ত থেকে ৫ হাজার নয়, ১০ হাজার সেনাকেই সরাতে হবে। সীমান্ত ইস্যুতে একেবারে কঠোর অবস্থানে ভারত। চিনকে ভারতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সীমান্ত থেকে ১০ হাজার সেনাকেই সরিয়ে ফেলতে হবে। তাহলেই ভারত একমাত্র সেনা সরানোর প্রক্রিয়া চলছে।