ইরানের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসির কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ইরান।
ইরানের রাষ্ট্রীয় আইনজীবী (অ্যাটর্নি জেনারেল) আলি আলকাসি মেহর গণমাধ্যমকে জানান, ট্রাম্প ছাড়াও আরও ৩৫ জন মার্কিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতের বিচারক ট্রাম্পসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির করতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের প্রতি অনুরোধ করেছেন।
ইরানের নিউজ চ্যানেল প্রেসটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাগদাদে কাসেম সোলাইমানির ওপর বর্বরোচিত হামলা করে তার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ইরানের শীর্ষস্থানীয় একটি আদালত। আদেশে সোলাইমানি হত্যায় ট্রাম্পকে নির্দেশদাতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ট্রাম্পকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য তেহরান নিয়মিত চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
এর আগে গত ১১ জুন ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসেন বাহারভান্দ ঘোষণা দেন, কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত গড়াবে।
তিনি ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবির সঙ্গে আলাপকালে আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দুই দিক থেকেই করা হবে। দেশের অভ্যন্তরে বিচার হবে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। ইরানের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে বিষয়টি আন্তর্জাতিক আলাদতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মার্কিন হামলায় নিহত ইরানের বিপ্লবী গার্ডসের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি ইরানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সবচেয়ে বড় শত্রু ভাবা হতো তাকে।
৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিমান হামলা চালিয়ে সোলাইমানিকে হত্যা করেন মার্কিন সেনারা।
ওই হামলায় কাসেম সোলায়মানির সঙ্গে ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবির উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ ১০ জন নিহত হন।