চীনের সঙ্গে ভারতের উচ্চপর্যায়ের সামরিক বৈঠক হয়েছে। কূটনৈতিক আলোচনার রাস্তাও খোলা।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা, উত্তেজনা কমাতে দুপক্ষই একমত- ভারতীয় সেনা সূত্রে এমন একাধিক বক্তব্য উঠে এলেও মিলছে না সঠিক সমাধানের সূত্র বা প্রক্রিয়া।
কিন্তু গালওয়ান উপত্যকা ও প্যাংগং লেকে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরাতে রাজি নয় চীন।
এই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া যে জটিল ও কঠিন, সে কথাও কার্যত মেনে নিয়েছে ভারত।
১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের আগে থেকেই চলছিল ভারত-চীন সামরিক পর্যায়ের বৈঠক। সংঘর্ষের আগে একবার ও পরে দুবার বৈঠক হয়েছে।
দুপক্ষই সেনা সরানোর প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছে। যদিও বেজিংয়ের পক্ষ থেকে সেনা সরানোর আশ্বাস মিলেছে এমন কোনো কথা বলা হয়নি ওই বিবৃতিতে।
চীন যে সেনা সমাবেশ কমাবে, এমন কোনো প্রতিশ্রুতি মেলেনি বলেই ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গেছে।
বরং আলোচনার সঙ্গে সমান্তরালভাবে দুদেশই সেনা সমাবেশ বাড়িয়ে চলেছে।
শেষ কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে ৩০ জুন। ম্যারাথন ওই বৈঠকের পরও লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমবে, এমন আশ্বাস নেই ভারতীয় সেনাদের।
প্যাংগংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দুপক্ষের সেনার হাতাহাতির পর থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চীন প্রায় ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ভারতও স্থল ও আকাশের পাশাপাশি প্যাংগং লেকে পাঠাচ্ছে নৌবাহিনীর জাহাজ।
এ পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনা সূত্রে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও চীনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি নিয়ে সামরিক ও কূটনৈতিক দুই চ্যানেলেই আলোচনা চলছে।
তৃতীয় কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের বিষয়ে বলা হয়েছে, দীর্ঘক্ষণ ধরে পেশাদার পদ্ধতিতে বৈঠক হয়েছে। দুপক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতে একমত হয়েছে।
৩০ জুন কোর কমান্ডার পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠক হয়েছে। উভয়পক্ষই দ্রুত ও ধাপে ধাপে সেনা সরানোর বিষয়ে প্রাধান্য দিয়েছে। গত ১৭ জুন দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যেও টেলিফোনে কথা হয়।
কিন্তু সেনা সরানোর প্রক্রিয়া জটিল। তাই এই পরিস্থিতিতে জল্পনা বা ভিত্তিহীন রিপোর্ট এড়িয়ে চলাই ভালো। পারস্পারিক সমঝোতায় পৌঁছতে দুপক্ষের মধ্যে আরও সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরের বৈঠক হবে।